রাজনীতির দুর্বল আবহে পশ্চাৎমুখী ঔপনিবেশিক ধারায় বর্তমান ডিজিটাল সময়ে ছদ্মবেশী রাজনীতিক, সুশীল ও কুশীলবদের পিছুটান এবং কাক্সিক্ষত সুবাতাস প্রবাহে সুর, তাল, লয় ও ছন্দ এখনও যে উপস্থিত- তা সময়ই বলে দেয়। একমাত্র আওয়ামী লীগেরই আছে দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, লড়াইয়ের ইতিহাস। এই ইতিহাসের কারিগর বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবীয় দর্শনের সাথে মিলিত হয় মুক্তির পথপ্রয়াস- এই মুক্তি দেশমুক্তি, এই মুক্তিই আমার স্বাধীনতা।
প্রকৃতি বা প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় আমরা কোথায় কোন পর্যায়ে থাকি, কারা সে পরিবেশ রক্ষা করেন, আর কারা করেন না, আমরা তা দেখি। একজন রাজনতিক কর্মীর পক্ষে সকল পরিবেশ, পারিপার্শ্বিকতা, পরিস্থিতি সুরক্ষায় দেশপ্রেম ও মানবপ্রীতিই মূল কথা- যা ক্রমান্বয়ে হুমকির মুখে পড়ছে। এর হেতু অনেক। সমাজের নানান অসঙ্গতি দূর করার যত দর্শন-তত্ত্ব, রাজনৈতিক দল, সরকার-ব্যবস্থাপনা, পরিকল্পনা, পদ্ধতি বাস্তবায়ন, সমাজ-মনস্ক মানুষ, গুণীজন, কত কত সংগঠনও সেই লক্ষ্যে কাজ করে। আবার কোথাও মত-পথ-স্বার্থের দ্বন্দ্বে হারিয়ে যায় কত কী! দেখি, বিশ্বের দেশে দেশে রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের পরিচয়-পরিচিতির সংকট, ক্ষমতার পালাবদলের নানান নতুন নতুন সংজ্ঞা, সমীকরণ ও অবস্থান। বাংলাদেশ-ভারতসহ উপমহাদেশের অনেক দেশে পুরনো অনেক দলের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন, কোথাও কোথাও বিলীনও।
বর্তমান সময়ে দেশে দুইটি ‘দলীয়’ ধারা দৃশ্যমান। তার একটির নেতৃত্বে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ, অপরটি শেখ হাসিনা ও আওয়ামীবিরোধী পক্ষ। একই দেশে দুইটি ধারা বেশ প্রবলভাবে বিরাজ করছে। একটি ধারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি জাতির ভাষার সংগ্রাম-লড়াই ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্ভব এবং তার ভাষা, কৃষ্টি-সংস্কৃতি বিকাশ ও প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা বলে। অপর ধারাটি বাঙালি জাতিসত্তা, মূল্যবোধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির আশ্রয় গ্রহণ করে, যা ইতিহাস-সমর্থিত নয়।
স্বাধীনতার পর ‘বিভ্রান্ত’ জাসদ গণবাহিনীর উত্থান ও তথাকথিত সমাজতন্ত্রীদের ছত্রছায়ায় স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের আশ্রয় লাভের কথা এবং তাদের অবলম্বন ও পুনরুত্থানের পথ খুঁজে পায় সেখান থেকেই। পঁচাত্তর পরবর্তী পর্বে ও নানা সময় সামরিক শাসন এবং তার গর্ভে জন্ম নেওয়া শাসকের দলে এ বিকাশ ঘটে রাজনীতিবিমুখ, বিচ্যুত, সুবিধাবাদী, মাস্লম্যানসহ দলছুটদের; সেখানে অনেক বিত্তশালী, পতিত সামরিক-বেসামরিক আমলা ও ডক্টরেটধারীদের পাওয়া যায়।
১৯৪৭-এর পর বাংলাভাষায় কথা বলার অধিকার ও অন্যান্য বিষয়ে জাতির মোহ ও বিশ্বাস ভঙ্গ হয়; অবিস্মরণীয় প্রতিবাদ-আন্দোলনের পথ ধরে স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের উত্তাল দাবিতে বঙ্গবন্ধু মুজিব তাঁর সুমহান নেতৃত্বে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। তিনি একাত্তরের ২৬ মার্চ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁরই নেতৃত্বে ‘জয় বাংলা ধ্বনি’র মধ্যে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা করে ১৯৭১-এর ১৭ এপ্রিলে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার। স্বাধীনতা-উত্তর সংঘাতময় বৈরী বিশ্বপরিস্থিতির মুখে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিপর্যস্ত-অর্থনীতি ও জনজীবন স্বাভাবিক- পুনর্গঠনের কর্মযজ্ঞে বঙ্গবন্ধু নিবেদিত প্রাণে কাজ করেন। মাত্র সাড়ে ৩ বছর সময়কালে বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক মুক্তি ও অর্থবহ স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিশ্ব রাজনীতির আলোকে বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও প্রজ্ঞায় দেশকে অগ্রসর করেন। এ সময় বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় প্রতিক্রিয়াশীল চক্র বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।
হত্যা-ক্যু, অত্যাচার-নিপীড়ন, সন্ত্রাসী আগ্রাসন, আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচারবিরোধী কর্মী, সংখ্যালঘু ও মুক্তিযোদ্ধা নিধনের সেই রাষ্ট্রাচার, রক্তাক্ত জনপদের কথা। সেই সাথে প্রকাশ্যে গোলাগুলি, বোমা হামলা ও দেশব্যাপী জঙ্গিদের উত্থানের সেই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির কথা। স্মরণ করুন- বিদ্যুতের অভাবে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত আমাদের হাপিত্যেশ করা জীবনের কথা। এখন তেমন নেই। বর্তমানে যাতায়াত ব্যবস্থা আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি যোগাযোগে অবিস্মরণীয় বিশ^মাত্রায় যুক্ত হয়েছে দেশ। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নানান ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সূচকে দেশের কল্পনাতীত উন্নয়ন আজ বাস্তবতায় দৃশ্যমান।
সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, মরণথাবা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হয়। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব এখন টালমাটাল। অর্থনৈতিক মন্দায় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। উন্নত বিশ্বের দেশে দেশে আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরবরাহে ভয়াবহ সঙ্কটের কথা আমরা জানতে পারি। বাংলাদেশে সে রকম সঙ্কট হয়নি। তবে স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষের টিকে থাকার লড়াই দীর্ঘতর হচ্ছে। আমাদের সম্মুখে বাজার দেখভাল, পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি দফতরের ক্রমাগত ব্যর্থতা নতুন নয়। নীতিহীন ও বিবেক বর্জনে বাড়ন্ত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অনেকটা প্রকাশ্যেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। চরম অসহায় থাকে ক্রেতাসাধারণ। এসবের দায় কর্তৃপক্ষের বা প্রশাসনের হলেও কোনো কোনো কর্মকর্তার মাঝে-মধ্যে বাজার মনিটরিংয়ের নামে যে ‘নাটক-তামাশা’ হয় তা দুঃখজনক। তবে আরো দায়িত্বশীলদের অনেকেই ঐ সিন্ডিকেটেই থাকেন। সেখানে আওয়ামী লীগের, জিয়া-এরশাদেও বিএনপি-জাতীয় পার্টির এমনকি অর্থনীতির অন্যতম প্রতাপশালী মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ বিরোধী জামায়াতের প্রতিনিধিরা একাকার।
গত কয়েক যুগে অবক্ষয় আর অনৈতিকতায় দিন দিন মানবকল্যাণমুখী সংস্কৃতিজাত রাজনীতি দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়। তাই রাজনীতির বিশ্বস্ত বাহন বলে চলমান বিশ্বসময়ে কোথাও তেমন কি কিছু দেখা যায়? কিন্তু বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা রাখবার গাণিতিক সাক্ষ্য-প্রমাণ দেয় বারবার। শুনতে পাই যে, অর্থ ছাড়া রাজনীতি বড়ই কঠিন। শুধু আদর্শ দিয়ে আজকাল রাজনীতি চলে না। কথাগুলো যৌক্তিক এবং খুবই বাস্তব। আর বাস্তবতা আমাদের মেনে চলতে হয়। একদিন এক স্বৈরশাসক বলেন যে, Money is no problem. I will make politics difficult for the politicians.
অর্থ বা সম্পদের গুরুত্ব চিরন্তন হলেও মুষ্টিমেয় অর্থবিত্ত-সম্পদের মালিকদের নিয়ে দ্বন্দ্ব ও কথাবার্তা চিরকালের। তেমন সূত্রে বঙ্গবন্ধু শোষিতের পক্ষে তাঁর অবস্থান জানান দেন। আওয়ামী লীগের কারো কারো বা তার বিরোধী পক্ষের জন্য টাকা কি সমস্যা? পক্ষে-বিপক্ষে থাকা ব্যক্তির কাছে সম্পদ ও টাকার পাহাড় জমে। সে তো কোনো দলের সম্পদ নয়। আমরা মনে করি- দল সমৃদ্ধ হলে কর্মী তৈরি হয় এবং শুধু নির্বাচনেই নয়, কর্মীর প্রয়োজন হয় সর্বকালে ও সর্বযুগে। আবহমান বাংলার প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সকল উৎস থেকে জন্ম নেওয়া কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ভাষা আর বাঙালি মানসের প্রতিনিধি ও তৃতীয় বিশ্বের রাজনৈতিক দার্শনিক শেখ মুজিবকে চিরবিদায় দেয়ার প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের অবস্থান। একাত্তরের ২৫ মার্চে, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বা একইসূত্রে ২১ আগস্টের গণহত্যা ও নারকীয় হামলার ঘটনাসমূহ বাঙালির ইতিহাস মুছে ফেলার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বৈ-আর-কিছু নয়। আজও সেই পরাজিত প্রতিহিংসাপরায়ণ গোষ্ঠী সক্রিয় বলে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক উৎসের উত্তরসূরি শেখ হাসিনার জীবন-প্রাণ হুমকির মধ্যে থাকে।
আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। তাঁকে হারিয়ে বাঙালি জাতির কী ক্ষতি হয়েছে- সেসব আলোচনা বা মূল্যায়ন কখনো কখনো কেন্দ্র, জেলা, উপজেলা বা বিভিন্ন স্তরে অনেকটাই দিবসভিত্তিক বা দায়সারা গোছের আয়োজন ও কথাবার্তায় শোনা যায়। দেশের ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও সোস্যাল মিডিয়া থেকেও সেসব জানা যায়। গত কয়েক যুগে আওয়ামী লীগ সভাপতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রভাবে ভূ-রাজনীতিতে তাঁর অনন্য অবস্থান নির্দেশ করে। বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী চেতনা ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক নির্দেশনা অনুসরণ কারা করেন? সংগঠন বা দল রাজনীতিনির্ভর যদি না হয় তো হোক, কিন্তু এটি ন্যূনতম জনবান্ধব ও জনস্বার্থের অনুকূলে থাকবে তো?
আপনি যদি দেখতে পান- কেন্দ্রের প্রায় সকল নেতা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন, সামনাসামনি তারা দেখেন না। তাদের দৃষ্টি ভাবলেশহীন; তাহলে কেমন হয়? আবার তাদের অনেকের বাসা-বাড়িতে-অবস্থানে মাঝে মাঝে উপলক্ষহেতু কেউ কেউ যখন পৌঁছান, তখন তাদের দৃষ্টি নিবন্ধ হয় কোনো বিশেষ কাজে। প্রায় একই রকম দৃশ্য দেখা যায় জেলায় জেলায়। আবার পৌরসভা, উপজেলার সভাপতি-সম্পাদকদের অনেকে তেমনি এ যুগের রাজাধিরাজ মনে করেন নিজেদের। তার ধারাবাহিকতা দেখা যায় ইউনিয়ন-ওয়ার্ডে। এমন পরিবেশ কি চিরকাল থাকে? দেশ-দল-মানুষের স্বার্থচিন্তা না করলে এক সময় মানুষ দলবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ প্রসঙ্গে এখানে ছোট্ট করে কিছু কথা তুলে ধরি: পঁচাত্তরপরবর্তী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রথম সামরিক শাসক হিসেবে জেনারেল জিয়া দল গঠন করেন, যে দলটির আন্দোলন-সংগ্রাম-লড়াইয়ের ইতিবৃত্ত নেই। সেদিন সরকার বা দেশ চালানোর জন্য ঐ ব্যক্তির ইচ্ছায় উপদেষ্টা, মন্ত্রী, এমপির জন্ম হয়। ফলে দেশের সামনে অখ্যাত-কুখ্যাত মানুষেরা নেতা বনেছেন।
আমরা আজ যে সর্বগ্রাসী বিলবোর্ড-ব্যানার ‘কালচার’ দেখি তার উৎপত্তি বা যাত্রা তখন থেকে। ঐসব অচেনা লোকেরা নিজেদের সেইসব প্রচার মাধ্যমে নিজেদের জাহির করে। সেখানে সর্বোচ্চ, মাঝারি বা প্রয়োজন মতো নেতা-নেত্রীর সাথে ছবি ছাপিয়ে নিজেকে বড় করে ঐসব প্রচারে দেখানো যে, সেও কত বড় একজন! আবার যে কোনো ছল-ছুতোয় আর অনেকটা সভ্যতা-ভদ্রতাবর্জিত পন্থায় গুরুত্বপূর্ণ নেতার বা ব্যক্তির কাছাকাছি হয়ে তা মোবাইলে ধারন এবং নানান মিডিয়ায় তা তারা তুলে ধরে। এদের অনেকেই অতি উৎসাহী এক একটি গোষ্ঠী। যদিও গত পনেরো বছর কর্মী হওয়ার অর্থ কী, কীভাবে কর্মী গড়ে ওঠে বা সৃষ্টি হয় তা তারা জানবার পরিবেশ পায় না। এলাকায় এলাকায় তেমন মানুষ দেখা যায় না, যাদের দেখে দীক্ষা নেওয়া বা অনুসরণ করা যায়। কোথাকার মানুষ কোথায় যায়, কোথায় পৌঁছায়- নানা অলিগলি দিয়ে। চেয়ার পান। চেয়ারে থাকা বা চেয়ারে আসা মানুষের অনেকে ভাবেন না- তারা ওখানে আসার বা বসার যোগ্যতা রাখেন কিনা! পদ-পদবিতে আসীনদের অনেক ক্ষেত্রে বাছ-বিচার বা মূল্যায়নও হয় গতানুগতিক বা অবৈজ্ঞানিক ধারা অনুসরণে।
আমাদেও দলীয় বৃত্তের ভিতরে ও বাইরে মানুষের উত্তরণের পথ খুঁজতে হয়। রাজনীতির দুর্বল আবহে পশ্চাৎমুখী ঔপনিবেশিক ধারায় বর্তমান ডিজিটাল সময়ে ছদ্মবেশী রাজনীতিক, সুশীল ও কুশীলবদের পিছুটান এবং কাক্সিক্ষত সুবাতাস প্রবাহে সুর, তাল, লয় ও ছন্দ এখনও যে উপস্থিত- তা সময়ই বলে দেয়। একমাত্র আওয়ামী লীগেরই আছে দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অভিজ্ঞতা, লড়াইয়ের ইতিহাস। এই ইতিহাসের কারিগর বাঙালি জাতি ও রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবীয় দর্শনের সাথে মিলিত হয় মুক্তির পথপ্রয়াস- এই মুক্তি দেশমুক্তি, এই মুক্তিই আমার স্বাধীনতা।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রাক্তন ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধুর হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী