মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২৪ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুগদা থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২ এর একটি দল।
র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মাহিদুল ইসলাম ওরফে সাগর একজন পেশাদার মাদক কারবারি। ২০১৩ সালে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের কোতয়ালী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার সাগর ১২ মাস জেল হাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হন। পরে আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এ মামলায় তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরবর্তী সময়ে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামি সাগরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন বিজ্ঞ আদালত। পরোয়ানা জারির পর থেকে আসামি সাগর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিলেন।
তাকে গ্রেপ্তারে ছায়া তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব-২ এর একটি দল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত (বুধবার) রাতে রাজধানীর মুগদা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ছপির উদ্দিনের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সাগর জানান, গ্রেপ্তার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে কখনো দিনমজুর, ভ্যান চালক ও অটোরিকশা চালাতেন। কাজের আড়ালে মাদক পরিবহন ও মাদকসেবীদের কাছে মাদক বিক্রি করতেন।
সর্বশেষ মুগদা এলাকায় নিজের নাম পরিবর্তন করে সাগর নামে রিকশা চালিয়ে আসছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে তার সহযোগী মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার সাগরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে গাইবান্ধা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাবু/জেএম