নীলফামারীর ডিমলায় তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গরমের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
বুধবার (৩১ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ও হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে তীব্র গরমে খুবই খারাপ অবস্থা বিভিন্ন পেশার মানুষের। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও কর্মজীবীদের জীবন যেন বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম। তারপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে ঘাম ঝরিয়ে ছুটতে হচ্ছে তাদের।
ডিমলা বাজারে অটোভ্যান চালক অমুল্ল রায় এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান গরম কেমন পড়ছে, তা তো দেখতেই পাচ্ছেন। এটা তো ধনী-গরিবের জন্য আলাদা হয় না। তারপরও যাদের গাড়ি আছে, তারা এসির মধ্যে শান্তিতে থাকতে পারে, বাড়ি ও অফিসে ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে বসে থাকতে পারে। আর আমাদের মতো গরিবের এই গরমের মধ্যেই কষ্ট করে ভাত জোগাতে হয়।
তিনি আরও বলেন, গরমে শুধু যে কষ্ট হচ্ছে তা নয়, আয়-রোজগারও কমেছে। একদিকে গরমের কারণে বেশিক্ষণ ভ্যান যেমন চালানো যায় না, আরেকদিকে যাত্রীও তেমন পাওয়া যায় না। মানুষ গরমের কারনে দিনে বাসা থেকে তেমন বের হয় না।
ডিমলা রেজিষ্ট্রী অফিস সংলগ্ন ফল ব্যবসায়ী স্বপন ইসলাম বলেন, কষ্টের তো শেষ নেই। কিন্তু পেট চালাতে হলে রোদ হোক বা বৃষ্টি, গরম হোক বা শীত, আমাদের বসতেই হবে।
বেসরকারি চাকরিজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাইরে তো গরমের জন্য এক ঘণ্টাও থাকা যায় না। বাসায়ও গরমে নাজেহাল অবস্থা। মাথার উপর ফ্যান ঘোরে, কিন্তু সেই বাতাসও গরম। দিনের বেলা ট্যাপ থেকে যেন ফুটন্ত পানি বের হয়। একটু বৃষ্টি যে কবে নামবে সেই অপেক্ষায় আছি।
ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজকের তাপমাত্র ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন দিন আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে বলে জানান।
-বাবু/এ.এস