শেরপুরে সুদের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগ তুলে সাইফুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করেছে দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক।
সোমবার সাইফুলকে গাছে বেঁধে রাখার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাইফুলকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে অভিযুক্তরা। এর আগে রবিবার রাতে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চকআন্ধারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাইফুল ওই এলাকার মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর স্বজন ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে আর্থিক সঙ্কটের কারণে জেলার সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চকআন্ধারিয়া গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেকের কাছ থেকে সুদে ছয় হাজার টাকা ধার নেন পরিবহন শ্রমিক সাইফুল ইসলাম। ওইসময় প্রতিমাসে সুদের টাকা পরিশোধ করার পর রবিবার সন্ধ্যায় আব্দুল মালেকের কাছ থেকে নেয়া আসল ছয় হাজার টাকা ফেরত দেন সাইফুল। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক তার কাছে লাভের আরও অতিরিক্ত দশ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু সাইফুল ওই টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে স্থানীয় মনির ও জুয়েলের সহায়তায় তাকে ওই রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় মালেক। পরে আব্দুল মালেকের বাড়ির উঠানে একটি গাছের সাথে সাইফুলকে বেঁধে রাতভর শারীরিক নির্যাতন করে।
নির্যাতনের শিকার সাইফুল ইসলাম বলেন, রবিবার রাত সাড়ে বারোটার সময় সুদের কারবারি মালেকসহ তার আরও দুই সহযোগী মনির ও জুয়েল রাতভর তাকে নির্যাতন করে। এর ফলে তার তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়।
সোমবার এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাইফুলকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্তরা।
সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাইফুল বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২-৩ জনকে আসামি করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বাবু/জেএম