পিরোজপুরে নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুর রহমান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনে রোগীকে অ্যানেস্থেসিয়া ইনজেকশন দেওয়ার পর অন্ত:সত্ত্বা নারীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. হাসানাত ইউসুফ জাকি এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
গত ৪ জুন বরিবার রাত ৮টায় নাজিরপুর উপজেলার খলনি গ্রামের নূরে আলম শেখের স্ত্রী কলিকে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য অ্যানেস্থেসিয়া ড্রাগ ইনজেক্ট করার পর অবস্থার অবনতি হয়। এসময় তার স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওই ক্লিনিক থেকে কলিকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই নেছারাবাদ থানায় নিহতের স্বামী নূরে আলম শেখ ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত দুই ডাক্তার এবং স্টাফ নার্সসহ মোট সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার মানবিক সরকার, হিসাব রক্ষক উম্মে সায়মা, নার্স শরিফা ও ইয়াসমিনকে গ্রেপ্তারের পর পিরোজপুর কোর্টে প্রেরণ করে। রোগী মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তথ্য জানার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন ওই তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
তদন্ত কমিটিতে অপারেশনের জন্য ভর্তিকৃত রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে সরজমিন তদন্তকার্য্য সম্পাদনের জন্য ইন্দুরকানি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ননি গোপাল রায়কে এ তদন্তের ভার দেয়া হয়েছে। একইসাথে ওই তদন্ত কর্মকর্তাকে পাচ কার্জ দিবসের মধ্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন বরাবর তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডাক্তার ননি গোপাল রায় জানান, আগামী সোমবার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় তদন্ত করা হবে। ডিপ্লোমা নার্সদের সনদসহ সকল বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
পিরোজপুর সিভিল সার্জন ডা. হাসানাত ইউসুফ জাকি জানান, অন্ত:সত্ত্বা ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রোগী মৃত্যুর বিষয়ে ওই প্রাইভেট ক্লিনিক, ডাক্তার বা নার্সদের কোন গাফলাতি আছে কিনা তার সঠিক তথ্য উদঘাটনের জন্য জেলার ইন্দুরকানি হাসপাতালের স্বাস্থ্য প:প: কর্মকর্তা ডা. ননি গোপাল রায়কে প্রধান করে এক সদস্যর ওই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বাবু/জেএম