জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক অধ্যাপককে নির্যাতন, মারধর ও হত্যার চেষ্টা ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন, মারধর, জোর করে স্বাক্ষর রাখা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার ৬ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, খুলনা জেলা প্রশাসকের সুপারিশ আমলে নিয়ে ওই চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৫ জুন এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মে উত্তরচক আমিনীয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় মাদরাসার সভাপতি মাহমুদ ও তার অনুসারীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে পাশ করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন ও মারধর করে। এক পর্যায়ে তার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেন।
পরে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা করেন। ১৬ মে উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করলে উচ্চ আদালত আসামিদের দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে ১ জুন কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন ওই মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তবে শুনানি শেষে জামিন না মঞ্জুরপূর্বক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজহারুল ইসলাম।
বাবু/জেএম