নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘তোমরা নতুন সৃষ্টি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তোমরাই গড়বে আগামীর সুন্দর পৃথিবী।’
তিনি বলেন, ‘সময় পাল্টায়। নতুন নতুন সময়ের সঙ্গে নতুন প্রজন্ম সৃষ্টি হয়। একটি প্রজন্ম সাহিত্যে, সৃজনশীলতায়, কাব্যে, গ্রন্থে, ভাষা শৈলী প্রকাশে দারুণভাবে কাজ করেছে। সেই সময়ে আমাদের রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, শরৎ আরও বহুজন একাকার হয়ে অপূর্বসব সৃজনশীল কাজ করেছেন। সেই সুন্দরের ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি, তখন সেইসব জ্ঞানের ধারাবাহিকতায় আমাদের নতুন প্রজন্ম, নতুন নতুন কাজ করবে। স্মার্টনেসের ব্যাখ্যা ভিন্ন হবে। সে নতুন করে ভাববে। নতুন পৃথিবীতে তার উদ্ভাবন হবে নতুন এবং সৃজনশীল।’
বুধবার (৭ জুন) বিকালে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অডিটোরিয়ামে নবীনবরণ-২০২৩ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য ড. মশিউর রহমান।
তরুণ শিক্ষার্থীদের নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘নবীন-বরণের আজকের এই দিনে তোমাদের স্বাগত জানাই। তোমরা যেন অনাগত এক চ্যালেঞ্জিং পৃথিবীতে নতুন সৃষ্টি, দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারো। আমি আশা করবো-তোমাদের প্রস্তুতি এই নবীন-বরণের দিন থেকে শুরু হোক। তুমি প্রতিদিন নিয়মিত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা অধ্যয়ন করবে। শিক্ষকদের সঙ্গে বসবে, ই-বুকে যাবে, ই-জার্নালে যাবে। কেননা তোমার হাতের মুঠোয় যে পৃথিবী সেটিকে কাজে লাগাতে হবে। অন্যথায় প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তুমি পিছিয়ে যাবে।’
লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নবীবরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা ব্রজলাল (বিএল) কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফ আতিকুজ্জামান, লালমাটিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ নাসরিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নবীনবরণ-২০২৩ এর আহ্বায়ক মাহমুদা আনসারী। অনুষ্ঠানে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাবু/জেএম