কৃষকের গোয়ালে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৩ মণ ওজনের ‘রাজা বাদশাহ’। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের রাজরা লাউতা গ্রামের নিজ বাড়িতে রাজা বাদশাহর দেখাশোনা করেন কৃষক শাহজাহান ও তার স্ত্রী ফুলজান বেগম। বিশাল আকৃতির ষাঁড়টির দাম চাওয়া হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। আর এটি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি তাদের। রাজা বাদশাহকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন এলাকাবাসী।
সাদা-কালো রংয়ের মিশেলে ফ্রিজিয়ান জাতের ৪২ মাস বয়সী ‘রাজা বাদশাহ’ শখের বসেই নাম রেখেছেন। নামটিও রাখা আদর করে। ৩৩ মণ ওজনের ‘রাজা বাদশাহ’কে বিক্রির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাম চাইছেন শাহ্ জাহান।
শাহজানের স্ত্রী ফুলজান বেগম বলেন, ৪২ মাস আগে আমার নিজের বাড়িতে জন্ম রাজা বাদশাহর। শুরুর দিকে কিছুটা কম খরচ হলেও মায়ের দুধ বেশি খাইতো। তবে গত একবছর ধরে প্রতি মাসে ‘রাজা বাদশাহর’ পেছনে আমার ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ পর্যন্ত একবছরে খাবার বাবদ প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার দিয়ে গরুটাকে এতো বড় করেছি।
খাবার তালিকায় এক বছরে ৬০০ বস্তা ছাটাই ছিল। এছাড়া ছোলা, পায়রা, খড়, ভুসি, তাজা ঘাস, ভুট্টা, মালটা, আঙুর ছিল। কোনো ধরনের ভেজাল (রাসায়নিক খাবার) খাওয়ানো হয়নি।
নিয়ম করে দুই-তিন বেলা শ্যাম্পু দিয়ে রাজা বাদশাহকে করানো হয় গোসল। রাজা বাদশার মেজাজ ঠাণ্ডা রাখতে বাতাস করা হয় বড় একটি বৈদ্যুতিক ফ্যান দিয়ে। রাজা বাদশাহকে এক নজর দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমান এলাকার মানুষ।
হরিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রায় সাড়ে নয়ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ছয়ফুট উচ্চতার রাজা বাদশাহকে ভাল দামে বিক্রি করতে পারলে লাভবান হবে খামারি। আমরা নিয়মিত খামারির বাড়ি যাই ও খামারিকে পরামর্শ দিচ্ছি।
বাবু/জেএম