আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আগামী ২১ জুন সিলেটবাসীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। আমি সিলেটবাসীকে অনুরোধ জানাবো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহভাজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধরীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। যে জলাবদ্ধতায় সিলেট মহানগরী দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তায় রাস্তায় পানি জমে যায়, এটি হওয়ার কথা ছিল না। আনোয়ারুজ্জামানকে আপনারা ভোট দিন। তাহলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির পাশাপশি সিলেটকে তিনি একটি তিলোত্তমা নগরীতে পরিণত করবেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) বাদ জুমা সিলেট শহরতলীর হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার এলাকায় নৌকার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগকালে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের মহানায়ক। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তার বিশেষ স্নেহের পাত্র। প্রধানমন্ত্রী দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সিলেটের উন্নয়নের ব্যাপারেও আন্তরিক। তাই তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সিলেটবাসীর দুর্ভাগ্য, তার সদ্ব্যাবহার হয়নি। তাই তিনি আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে পাঠিয়েছেন আপনাদের কাছে। তার মাধ্যমেই প্রধানমন্ত্রী সিলেট নগরবাসীর কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চান।
তিনি বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন সৎ যোগ্য সৃজনশীল মানুষ। উন্নয়নের জন্য তিনিই সঠিক ব্যক্তি। নৌকায় ভোট দিয়ে তাকে মেয়র বানালে অবশ্যই সিলেট মহানগরবাসীর দুঃখের অবসান হবে এবং কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত হবে। খুলনা বরিশালের মতো সিলেটবাসীও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের পক্ষে রায় দিবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
এ সময় নানক বলে, খুলনা ও বরিশালবাসী প্রমাণ করেছেন তারা নৌকার সাথে আছেন। আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে। সিলেটেও নৌকার পক্ষে যে গণজোয়ার দেখছি, ইনশাল্লাহ এবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র চেয়ারটি আওয়ামী লীগ পুনরুদ্ধার করবে। সিলেটবাসীই তা করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিবেন।
নানক স্থানীয় ব্যবসায়ী পথচারী ও বাসিন্দাদের সাথে একান্তে আলাপকালে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত হন এবং আনোয়ারুজ্জামানের মতো যোগ্য মানুষ নির্বাচিত হলে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এর আগে তিনি হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন এবং মুসল্লিদের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন।
গণসংযোগকালে তার সাথে ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী, জগলু চৌধুরী, মোস্তাকুর রহমান মফুর, যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
বাবু/জেএম