ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় শামছুন্নাহার (৩৫) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জ উপজেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
রবিবার (১৮ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার ওই নারীর মৃত্যু হয়।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৬ জুন শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গার্মেন্টস ছুটির পর গাজীপুরের মাওনা থেকে একটি বাসে করে ভালুকায় আসছিলেন শামছুন্নাহার। পথিমধ্যে বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে গেলে ওই নারী একা হয়ে যান। এসময় বাসের চালক ও দুই হেলপার মিলে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চালক ও হেলপাররা তাকে প্রথমে মারধর করে ও পরে চলন্ত বাস থেকে জানালা দিয়ে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায়। এতে ওই নারী মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ওই নারীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ওই দিন রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করে মামলা দায়েরের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটকরা হলেন, চালক মো. রাকিব মিয়া (২১), কন্ডাক্টর আনন্দ দাস (১৯) ও হেলপার মো. আরিফ মিয়া (২১)।
ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হয়েছিল ওই নারী নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে বাস থেকে লাফ দিয়েছিল। পরে গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ওই নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে বাসের জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়।
বাবু/জেএম