গাজীপুরের শ্রীপুরে এক নারী পোশাক শ্রমিক (১৯) সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২০ জুন) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৯ জুন) দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের আবদার গ্রামের তমিজ উদ্দিনের বাড়ীর দক্ষিণ পাশে (কাঠবাগানে) অন্ধকার জঙ্গলে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই নারী শ্রমিকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পলাক্রমে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে আটক করে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, দেলোয়ার হোসেন (২৩), ইমন (২২)। তাদের অপর সহযোগী উজ্জ্বল (২৫) উজ্জ্বল পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো. নাসিম ওই নারী শ্রমিকের দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে জানান, ভিকটিম ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী গ্রামের সু-নির্ভাস ফুট ওয়্যার লি. কারখানায় চাকরি করে। সোমবার কারখানা ছুটি শেষে ওই নারী শ্রমিক তার সহকর্মী সুমনের সাথে হেটে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের আবদার গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। ওই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের বাড়ির কাছে পৌছলে পূর্বে থেকে উৎ পেতে থাকা দেলোয়ার, ইমন ও উজ্জ্বল ভিকটিমের সহকর্মীকে চর-থাপ্পর মেরে ভয় দেখালে সে দৌড়ে চলে যায়। পরে আসামিরা ভিকটিমকে টেনে হিচড়ে তমিজ উদ্দিনের বাড়ির দক্ষিণ পাশের কাঠ বাগানের ভিতরের জঙ্গলে নিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক পলাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ভিকটিম মঙ্গলবার সকালে মামলা দায়ের করে।
ভিকটিম পোশাক শ্রমিক জানান, কারখানা ছুটি শেষে এক সহকর্মীকে সাথে নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে আসামিরা আমার সহকর্মীকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। পরে সে চলে গেলে আসামিরা তাকে মারধর করে গভীর বনের ভিতর নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে সেখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তার সহকর্মী এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে আটক করে। তাদের অপর সহযোগী পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষণের শিকার নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাবু/জেএম