আজ বুধবার (২৮ জুন) চীনে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মসজিদে মসজিদে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।
যদিও চীনের বিভিন্ন রাজ্যে আজ এবং আগামীকাল ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। কেননা চীনে ধর্মীয় উৎসব বা জমায়েত হতে হলে আগে থেকে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় কিছু কিছু রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ অনুমতি নিয়েছিলো সেই রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় আজ ঈদ উদযাপন করছেন। গত ঈদুল ফিতর ২৯টা হলেও পূর্বের অনুমতি না থাকায় এখানে সবাই ৩০টা রমজান পালন করেছিলো।
আমরা গিয়েছিলাম আনহু রাজ্যে হুয়াংশান শহরের মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে। ঈদের নামাজ স্থানীয় সময় সকাল ৭:০০ টায় অনুষ্ঠিত হয় । নামাজ শেষে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন দেশের আগত মুসল্লিদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর পশু কুরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদের আনুষ্টিকতা। এখানে ভিন্নতর দেখা গিয়েছে অধিকাংশ পরিবার একটি করে ভেড়া বা ছাগল কুরবানী দিয়েছেন।
মসজিদের খুতবায় ইমাম সাহেব বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন কুরবানী পশুর মাংস সঠিকভাবে বন্টন ও পশু কুরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগে উদ্দীপিত হওয়ার উপরে। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়ের সামনে কুরবানির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন এবং সবাইকে এই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
পাকিস্তানি এক মুসলিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটাই আমার চীনে জীবনের প্রথম ঈদ। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের খুব মনে পড়ছে, আসলে কুরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগে উদ্দীপিত করা এবং সকলের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করাটা বড্ড বেশি মনে পড়ছে। এখানে আমার কেউ নেই নামাজ শেষে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বো উঠে হালকা খাবার খেয়ে বাহিরে ঘুরতে যাবো। তবুও ঈদ সুতরাং আপনার মাধ্যমে সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
-বাবু/এ.এস