গত কয়েক সপ্তাহে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলীয়া পাড়া, মাটিকাটা ও পাটিতাপাড়াসহ কয়েকটি গ্রামে দেখা দিয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। অব্যাহত ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে মানববন্ধনসহ সড়ক অবরোধ করে নদী ভাঙন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটি।
সোমবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২ ঘন্টা ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের মাটিকাটা মোড় এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। ভাঙন কবলিত এলাকার শত শত নারী-পুরুষ, স্কুল, কলেজসহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে অংশ নেন। অবরোধের কারণে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়। এর ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন। তিনি ভাঙন রোধে আরো দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ থেকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর যমুনা পূর্ব পাড়ে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ভাঙনে গিলে খাচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি। ইতিমধ্যে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে শতাধিক পরিবার। প্রতিদিন পূর্ব পাড়ের চিতুলিয়া পাড়া, মাটিকাটা ও পাটিতাপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকার ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হচ্ছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলাসহ স্থায়ী বাঁধ না দিলে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলসহ শত শত ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ডল বলেন- ইতিমধ্যে আমাদের এলাকায় যমুনার ভাঙন অসংখ্য ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাটসহ শত শত ঘরবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন, ভাঙন ঠেকাতে ভাঙন কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ভাঙন কবলিত এলাকায় যাতে আরো দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলা যায় সেই ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। নদী ভাঙনে যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে তাদের তালিকা করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।
বাবু/জেএম