নবীনগরে পূর্ব বিরোধের জেরে একই গোষ্ঠীর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া পাঁচজনকে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাতে নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওসি রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাদেকপুর গ্রামের ডেংগা বাড়ির গোলাপ মিয়া ও হাজী বাড়ির নাছির মিয়ার মধ্যে বিগত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদের নির্বাচন নিয়ে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব ও বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধের জেরে বুধবার সন্ধ্যার পর দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্য থেকে এক পক্ষের গোলাপ মিয়া ও অপরক্ষের পাশা মিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর রক্তাক্ত অবস্থায় উভয় পক্ষের আতাউর রহমান, ইসমাঈল মিয়া, রবিউল্লাহ, ওবায়দুল হক ও আনোয়ার হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইলিয়াস মাহমুদ বলেন, ‘হাসপাতালে মোট ১৬ জন আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল। এর মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। পাঁচজনকে এখানে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
নবীনগর থানার ওসি মাহাবুব আলম বলেন, ‘বিগত দিনে মেম্বার নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই গোষ্ঠীর দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
বাবু/এ.এস