সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
ডিজিটালের পর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়
মানিক লাল ঘোষ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩, ৩:০৭ PM

গোটা বিশ্বে আজ দ্রুত গতিতে বিকাশ ঘটেছে, প্রযুক্তির। প্রযুক্তির কল্যানে এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অগ্রগতি থেকে পিছিয়ে নেই  রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। আর এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিত সাহসী  নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা এবং  আগামী দিনের  স্মার্ট বাংলাদেশের  স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ পর্ব শেষে এবার নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের লক্ষ্যের নাম ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানের সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর স্বপ্ন। এবার সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তর। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট—এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

 এর আগে ‘উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য চারটি প্রযুক্তির ওপর নজর দিয়ে ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। । মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়ালি ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি; এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির  প্রচেষ্টা শতভাগ সফল হওয়ায়  এবার স্মার্ট বাংলাদেশের  স্বপ্ন বাস্তবায়নের  ভাবনা ঘিরে রয়েছে  সজীব ওয়াজেদ জয়ের চোখে মুখে।

কি ভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরণ হয়েছে সেই গল্প  আজ তরুণ প্রজন্মের মুখে মুখে।  ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ দৃশ্যমান বাস্তবতা- মাত্র ১৪ বছরে বাংলাদেশ এর লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

প্রযুক্তির বরপুত্র, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকশন প্ল্যান, টাইমফ্রেম,মিশন,রোডম্যাপ এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। যার সুদূর প্রসারী চিন্তার ফসল আজকের প্রযুক্তির উন্নয়নের বাংলাদেশ।

সজীব ওয়াজেদ জয় একজন ভিশনারী ও মেধাবী নেতা। তিনি স্বপ্ন দেখেন, কর্মপরিকল্পনা তৈরী করেন এবং তা বাস্তবায়নের পথ বাতলে দেন। যার জীবন দর্শনের মূলে রয়েছে সততা আর হৃদয়ে রয়েছে দেশপ্রেম। মূলত বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বলেই জীবন ও কর্মের মাঝে তিনি সততার অনুশীলন করতে পেরেছেন। আর এ কারণেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন শেষে নতুন  করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন  দেখার সাহস পান তিনি।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না প্রযুক্তিখাতে দীর্ঘদিন পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রথম ভাবনা আসে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মাথা থেকে। এর কারণও আছে। জয় সবসময়ই দেখতেন দেশকে নিয়ে তার মায়ের ভাবনার শেষ নেই। দেশ ও দেশের মানুষকে নিয়ে তার মা প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নানামুখী ইতিবাচক ভাবনার প্রভাব পড়ে পুত্র জয়ের মধ্যেও।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্ট অন্তর্ভুক্তি জয়ের চিন্তার ফসল। সার্বিকভাবে বাংলাদেশকে প্রযুক্তি নির্ভর করতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অবদান অনস্বীকার্য। এ জন্য তাকে শুনতে হয়েছে অনেক কটাক্ষ, সহ্য করতে হয়েছে সমালোচনা। কিন্তু জয়ের ভাবনার আজ সবদিকেই জয়জয়কার। দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাইটেকপার্ক নির্মাণ, ফোর- জি চালু, ইন্টারনেটের দাম কমানো, কম্পিউটার শুল্কমুক্ত আমদানী, ফ্রিল্যান্সিং এর উৎকর্ষতা, বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ অনলাইনে করাসহ নাগরিক সুবিধাকে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্নগুলো আজ ডানা মেলেছে সবখানে। গত এক দশকে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মহাসড়কের পথ ধরেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত দুই বছরে বৈশ্বিক মহামারী করোনা সংক্রমণে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেললেও তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নয়ন কতটা এগিয়েছে এই দেশ তা আজ প্রমাণিত। শ্রমনির্ভর অর্থনীতি আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে পরিণত।

দেশের অর্থনীতি, শিল্প, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতেই আজ প্রযুক্তির ছোঁয়া। করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার সময় আমরা দেখেছি ঘরে বসেই চলছে অফিসের কাজ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং, রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড, ব্যাংক, বীমা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কর্পোরেট কোম্পানীসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ সব কাজ, এমন কী টেলিভিশন রিপোর্টিং ও টকশো পর্যন্ত ছিল অনলাইন নির্ভর। শিক্ষার্থীদের ক্লাশ, পরীক্ষা, ভর্তি , নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়, অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় টেলিমেডিসিন সেবা, আদালতের বিচার কার্য পরিচালনা থেকে শুরু করে কোথায় নেই প্রযুক্তির স্পর্শ? কেউ কি কখনো ভেবেছে কুরবানীর গরু কেনা যাবে ডিজিটিাল প্লাটফর্মে? উন্নয়নের পথে, প্রযুক্তির পথে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়ার নেপথ্য মহানায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়।

বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র হওয়া সত্ত্বেও দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম। ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয় তাকে। যার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক রাজনীতিতে যাত্রা শুরু তার। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ কিংবা ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের কোনো ভাবনা নেই তার। মেধা মনন আর চিন্তা জুড়ে রয়েছে মায়ের মতো জনগণের পাশে থাকা আর প্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। ২০১৪ সালের ১৭ নভেম্বর অবৈতনিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান সজীব ওয়াজেদ জয়। তখন থেকেই সরকারের পাশাপাশি দলীয় ঘরানার ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তিনি। দেশ গঠনে তরুণদের মতামত ও পরামর্শ শুনতে, ‘লেটস টক’ ও ‘পলিসি ক্যাফে’ দারুণ সাড়া ফেলেছে তর।

বাবু/এ.এস

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত