বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংকট নিয়ে নানামুখী বিশ্লেষণ দেওয়া হয়। দেশের বাইরের পর্যবেক্ষক কেউ কেউ আবার বিষয়টাকে অতি-সরলীকরণ করেও দেখার চেষ্টা করেন। কেউ এও মনে করেন, এ সংকট শেষ হওয়ার নয়। কারণ হিসেবে তারা দুটি বড় দলের কঠোর পরস্পরবিরোধী অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। কিন্তু আমার মনে হয় এ পর্যবেক্ষণ সংকটের গভীরে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, এ সংকটের সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত বিপন্ন হতে থাকবে, কাঙ্ক্ষিত স্থিতিশীলতা পিছিয়ে পড়বে এবং দেশ তার প্রার্থিত শান্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থ হবে। এবং এ পরিস্থিতি পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার করবে উগ্র সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী, যারা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি। সুযোগটি আরও গ্রহণ করবে যারা ভূরাজনৈতিক কারণে এ জনপদে অস্থিতি জিইয়ে রাখার পক্ষপাতী।
কাজেই সার্বিক পরিস্থিতির মূল্যায়ন জরুরি। এ মূল্যায়ন বা উপলব্ধি যত দ্রুত ঘটে ততই মঙ্গল। কারণ সাধারণ মানুষ সংকটের সমাধান চায়, তারা শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায়। তারা বহুদলের, বহুমতের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বিকাশ চায়; যে সংস্কৃতিতে দলীয় যুদ্ধের দামামায় রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব বিপন্ন হবে না, বাংলাদেশ রাষ্ট্র লক্ষ্যচ্যুত হবে না, মুক্তবুদ্ধিচর্চা ও ব্যক্তিস্বাধীনতা বিপন্ন হবে না। বরং এমন এক ঐতিহ্য স্থাপিত হবে, যা এ ভূখণ্ডের মানুষকে উত্তরোত্তর আধুনিক জাতিতে রূপান্তরিত করবে। দ্বিমতের অবকাশ নেই, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংকট ইতিহাসের সংকট, যা বেশিরভাগই আরোপিত এবং পরিকল্পিত; এবং যার সূত্রপাত রাষ্ট্রের স্থপতিকে হত্যার মধ্য দিয়ে, লাখো শহীদের রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধকে আঘাত করার মধ্য দিয়ে। মানা উচিত হবে যে, একাত্তরের ইতিহাসের প্রতি বৈরিতা ও পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দুটি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাভাবিক অগ্রযাত্রার মৌলিক প্রতিবন্ধক। এও মনে করার সঙ্গত কারণ আছে যে, স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ ও পরাজিতরাই খোলস বদলে ১৯৭৫-এর কুশীলব হয়েছিল, যারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সদ্যস্বাধীন দেশের রাষ্ট্রীক ও সামাজিক অর্জনগুলো ধূলিসাৎ করা সম্ভব হবে। হয়তো তারা ভেবেছিল, মুক্তিযুদ্ধ সফল হলেও মুসলমানপ্রধান এ জনপদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে আধুনিক এবং জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পত্তন করার সাফল্য দেখিয়েছেন, তাকে আঁতুড়ঘরেই গলা টিপে হত্যা করা যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আশা পূরণ হয়নি। ইতিহাসের নিজস্ব নিয়মেই অমোঘ সত্য প্রত্যাঘাত করেছে, সাময়িকভাবে হলেও একাত্তর ও পঁচাত্তরের কুশীলবরা পর্যদুস্ত হয়েছে; বাংলাদেশ আবারও মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একাত্তর ও পঁচাত্তরের কুশীলবরা হাল ছেড়ে দিয়েছে, ভাবা উচিত হবে না।
ব্রিটিশ ভারতের সাম্প্রদায়িক বিভক্তির পর যুক্ত পাকিস্তান টিকেছে ২৩ বছর। কিন্তু বাংলাদেশ রাষ্ট্র পাঁচ দশকের বেশি সময় অতিক্রম করেছে এরই মধ্যে। নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কারণ এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের জাতির পিতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ‘দ্বিজাতিতত্ত্ব’কে ভুল প্রমাণ করেছে। নতুন নাগরিকরা আজ সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছে, জ্ঞানবিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ব্যবসা ও খেলাধুলায় অবাক করা সাফল্য বয়ে আনছে। কিন্তু এই নতুন নাগরিকের বড় অংশের মন থেকে মৌলিক কিছু প্রশ্ন দূর করা আজও সম্ভব হয়নি। এরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করছে, সুষ্ঠু ও স্বাধীন নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করা যায়নি; অন্যদিকে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গ্রাস করতে উদ্যত দুই পুনর্জাগরিত অপশক্তিÑ ধর্মীয় উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতা। এই নতুনেরা আরও বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছে, দীর্ঘকাল পরও রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাস নিয়ে বিতর্ক তোলা হচ্ছে; মুক্তচিন্তা, যা আধুনিক সমাজ নির্মাণের মৌল উপাদান, তাকেও গ্রাস করতে উদ্যত হচ্ছে জঙ্গিরা! আরও বিস্ময়ের ব্যাপার যে, গণতান্ত্রিক রাজনীতির বাতাবরণে এদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে কিছু রাজনৈতিক দল, কিছু ভিনদেশি চক্র! অতএব সংকটের মূলে ফিরে যেতে হবে, অবিমৃশ্যকারিতার আবরণ খুলে উদারচিত্তে সৎসাহসে সামনে এগোতে হবে। কারণ মৌল সংকট চিহ্নিত করা না গেলে সংকট দূর হতে পারে না, সমঝোতা আসতে পারে না। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বরে এ পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব নয়।
অনুধাবন করা সঙ্গত যে, স্বাধীনতার পর থেকেই স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ পরিকল্পিত পন্থায় বিভাজন সৃষ্টি করে চলেছে, তারা জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিমূল থেকে বাঙালিকে দূরে সরানোর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। এসেছে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০-এর সময়। গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালিত হয়েছে অবৈধ সেনাপতি শাসকদের হাতে, কিংবা তাদের হাতে গড়া হঠাৎ গজানো রাজনীতিবিদের হাতে। বাংলাদেশের সীমানায় এরা নতুন ‘পূর্ব পাকিস্তান’ তৈরির চেষ্টা চালিয়েছে, যে সাম্প্রদায়িকতা বিতাড়ন করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে, তাকে নতুন করে জাগরূক করা হয়েছে, পরিকল্পিত পন্থায় জাগানো হয়েছে মৌলবাদ। ফলে ১৯৭৫-পরবর্তী শাসকদের হাতে রাষ্ট্রের স্থপতি চরমভাবে উপেক্ষিত হয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন; উপেক্ষিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, চেতনা ও আদর্শ। গজিয়েছে বহুবিধ পরগাছা যারা সমাজকে কলুষিত করেছে। এ সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি পুনরায় খুঁটি গেড়ে বসেছে; ধনে জনে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসবই করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে, যাতে মুসলমানপ্রধান জনপদে জনগণতান্ত্রিক উদার সংস্কৃতির রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যর্থ হয়, ব্যর্থ হয় লাখো মানুষের আত্মদানের মুক্তিযুদ্ধ, যে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হানাদার সেনাবাহিনী ও তাদের দেশি দোসররা জাতীয়তাবাদী শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছিল।
নানা পালাবদলের পর, বিশেষ করে ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী সফল আন্দোলনের পর রাষ্ট্রের আশাজাগানিয়া নবযাত্রা হয়। কিন্তু সে যাত্রা মসৃণ হয়নি। এর প্রধান কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রশ্নে, মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনার লালন ও অবিকৃত ইতিহাস সংরক্ষণের প্রশ্নে, অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার প্রশ্নে প্রতিপক্ষ হিসেবে অবস্থান নিয়েছে সেনাপতি-রাজনীতিবিদ ও তাদের সৃষ্ট দলগুলো। এরা অস্বীকার করেছে বঙ্গবন্ধুকে, এমনকি মুক্তিযুদ্ধকে; আঘাত হেনেছে বাঙালি সেক্যুলার সমাজশক্তির প্রতিটি স্তম্ভে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধশক্তিকে এরা উৎসাহিত ও পুনর্বাসিত করেছে, পাকিস্তানি প্রেতাত্মার লালন করেছে! এ যেন তাদের আরেক যুদ্ধ, একাত্তরের রণাঙ্গনে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ! ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এই বৈরিতায় জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু লাভবান হয়নি তারাও যারা ইতিহাস হত্যার ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। বরং এ প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের যাত্রাপথ কণ্টকাকীর্ণ হয়েছে, জনগোষ্ঠী উত্তরোত্তর বিভাজিত হয়েছে, সংকট গ্রাস করেছে এবং দুর্ভাগ্য, এ প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতা ও সমাজপ্রগতির চিহ্নিত শত্রুরা শক্তি সঞ্চয় করেছে, ১৯৭১ হটাতে ১৯৪৭-এর অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়েছে।
তবে দেরিতে হলেও ইতিহাসের অমোঘ সত্য দুয়ারে কশাঘাত করেছে। শত প্রতিবন্ধকতার পরও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকানো যায়নি। এমনকি বিচার ঠেকানো যায়নি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের, যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর হয়ে ধর্মের নামে নির্বিচার গণহত্যা, বর্বরতা ও নারীনিগ্রহ চালিয়েছিল। এ প্রক্রিয়ায় আরও একটি বড় অর্জন সাধিত হয়েছেÑ নতুন প্রজন্মের বৃহৎ অংশ মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাসের প্রতি আস্থাশীল হয়েছে। নতুন প্রজন্মের এই মনোজাগতিক উত্থান বাঙালির ইতিহাসের বড় আশীর্বাদ। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে, সে কারণেই বলি, একটি গুণগত পরিবর্তন বাঞ্ছনীয়। পুরোনো ব্যর্থতা ও কলঙ্ক থেকে বেরিয়ে ন্যায় ও সত্য গ্রহণ করা জরুরি। আমার বিশ্বাস, পরিবর্তনের এ ধারাটি সূচনা করে রাজনীতিতে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা সম্ভব। এ পরিবর্তনের মূল শর্ত অতীতের ব্যর্থতা থেকে বেরিয়ে নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ঐতিহাসিক মহিমায় গ্রহণ করা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অবিকৃত ইতিহাস পরিপূর্ণ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা; যা জাতীয় ঐকমত্যের মৌল শর্ত।
গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দল ও মতের প্রতিযোগিতা থাকবে; অতএব সরকারি নীতি-কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা কিছুতেই অপরাধ নয়, ভোট বা নির্বাচনী সুষ্ঠুতা ও নিরপেক্ষতার দাবিও অসঙ্গত নয়, বরং তা প্রয়োজন। কিন্তু অপরাধ হচ্ছে, সরকারের বিরোধিতার নামে ইতিহাসের প্রতিপক্ষ হওয়া, জাতির জনককে অবজ্ঞা করা, স্বাধীনতার ইতিহাস উপেক্ষা করা, বিতর্কিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধিতাকারীদের অনুসারীদের পক্ষ ধারণ করে ইতিহাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। জানি না, আত্মঘাতী চেতনার এই ধারকরা তাদের কলঙ্কময় অবস্থান পাল্টাবে কি না। যদি পাল্টায় তা হবে বড় জাতীয় লাভ; আর যদি তা না হয় তাহলে আমি নিশ্চিত, দুই বিবদমান শিবির মুখোমুখি থাকবে আরও বহুকাল, যা হবে দুর্ভাগ্যজনক। মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, জাতীয় সমঝোতার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে নিঃশর্ত ও পরিপূর্ণ ঐতিহাসিক সততা ও আবেগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রহণ, একই সঙ্গে জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধকে বুকে ধারণ। যতদিন না এ কাজটি করা সম্ভব হবে, ততদিনই সংকট জিইয়ে থাকবে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হবে। সবাইকে পূর্ণ উপলব্ধিতে বুঝতে হবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আর কোনো দলের নন, ইতিহাস পরিক্রমায় তিনি বাংলাদেশের জাতির জনক, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি, যা অলঙ্ঘনীয় সত্য।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মানার প্রধানতম শর্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে অবিকৃত ইতিহাসে ধারণ করা, স্বমহিমায় বরণ করা। কোনো সন্দেহ নেই এ উচ্চারণে। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আমরা কেবলই উত্তরোত্তর সংকটে জর্জরিত হব, বিভাজিত হব। বঙ্গবন্ধুর যারা দলগত অনুসারী, তাদেরও উচিত হবে জাতির জনককে গণ্ডিবদ্ধ না করে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও শুদ্ধতম এই নেতাকে সর্বজনীন করা। তাঁর আদর্শ সত্যিকার মর্মে উপলব্ধি ও বেগবান করা। সে কারণেই বলি, রাজনৈতিক যুদ্ধের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যুদ্ধ এগিয়ে নিতে হবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চর্চা ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন আদর্শিক যোদ্ধা তৈরি। ভুলে গেলে চলবে না, অসাম্প্রদায়িক জাতিসত্তার শত্রুরা প্রাথমিকভাবে পরাজিত হলেও তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে নেমেছে। কাজেই আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। বড় দুঃখ হয় যখন দেখি আদর্শিক রাজনীতির ক্রমান্বয় পতন ঘটছে; রাজনীতি কেবলই স্লোগানসর্বস্ব হয়ে উঠছে; যা হয়তো সাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম, কিন্তু বৃহৎ আক্রমণ প্রতিহত করতে নয়। আমার বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়ার কবরে শায়িত থেকেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ ও আগামীকালের জাতিবিরুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরুদ্ধ সব আন্দোলনের সর্বাধিনায়ক হবেন, যেমনি পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থেকেও তিনি ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চিন্তক
বাবু/এ.এস