যশোরের শার্শা উপজেলার ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক নিয়োগ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি পছন্দের প্রার্থীর চাকরি নিশ্চিত করতে না পারায় স্থগিত রয়েছে নিয়োগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাকরি প্রত্যাশী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে অভিযোগ তুলে জানান, ম্যানেজিং কমিটি আগ হতেই টাকা নিয়ে অফিস সহায়ক হিসাবে আল মামুনকে সিলেক্ট করে রেখেছে। সার্কুলার কেবলই আই-ওয়াশ।
অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে ব্যাপক খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, সামটা গ্রামের আলী আজমের ছেলে ডি এসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেতে চলমান ম্যানেজিং কমিটির সাথে দেন-দরবারে জড়ায়।
বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদীন আইসিটি শিক্ষক পদ শূন্য থাকলেও এনটিআরসি এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হওয়ায় বিপাকে পড়ে ম্যানেজিং কমিটি। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডি এসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আল মামুনের চাকরি নিশ্চিত করতে গিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আল মামুন অফিসহায়ক পদে সিভি জমা করেছেন। তবে অর্থ লেনদেন সম্পর্কিত কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেনি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নূরল ইসলাম জানান, দুই মাস আগে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষ্যে আঞ্চলিক পত্রিকা স্পন্দন ও সমকাল জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সে মোতাবেক ঐ পদে ৮/৯টি আবেদন জমা পড়েছে তার মধ্যে আল মামুনের আবেদন রয়েছে। এখনো নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হয়নি। নিয়োগ সংক্রান্তে দু-পক্ষের প্রভাব বিস্তার চেষ্ঠায় আপাতত নিয়োগ স্থগিত।
আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ সার্কুলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুঠোফোনে জানান, শিক্ষক নিয়োগ এর কোন সার্কুলার দেওয়া হয়নি। একজন অফিস সহায়ক নেওয়া হবে সে অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জানতে আল মামুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ১ বছর পূর্বে ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ পেতে চেষ্ঠা চালাই বেতন আসবে না বলে আর আগ্রহ দেখাইনি।
তবে কি অর্থবাণিজ্যের ভাগবাটোয়ারা দ্বন্দ্বে স্থগিত হলো অফিস সহায়ক নিয়োগ এমন প্রশ্ন জনমনে।
বাবু/জেএম