চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার অন্যতম শীর্ষ চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যু জানে আলম বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দিন দিন মাত্রা ছড়াচ্ছে৷ পরিবহন শ্রমিকদের জিম্মি করে পরিবহন নেতা পরিচয়ে জানে আলম এমন কোন অপরাধ নেই যা বাকলিয়া ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় সংঘটিত করেনি৷
সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাকলিয়া থানাধীন কর্ণফুলী সেতু সংযোগ সড়কের রাজাখালি এলাকায় সদ্য প্রয়াত হাজী আবুল কাশেমের মালিকানাধীন বাংলাদেশ টিম্বার নামক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটতরাজ ও অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এসব অপকর্মের পরো থানা পুলিশের নীরবতার সুযোগে জানে আলম বাহিনীর রাতভর ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়েছে৷ প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর অবশেষে মামলা নিলেও অপরাধীদের বিরুদ্ধে তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালীস্থ মীর ফিলিং স্টেশনের পূর্ব পাশে বিগত ১০ বছর যাবত বাংলাদেশ টিম্বার ডিপো নামক স'মিলের ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। ২৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক দেড়টার সময় জানে আলম ও তার বাহিনী প্রতিষ্ঠানের দেয়াল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের দারোয়ানসহ অন্যান্য স্টাফদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় । এসময় দারোয়ান রাজু (৩৫)কে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
মামলার বাদী নজরুল ইসলাম জানান, হামলাকারীদের এমন হামলার প্রেক্ষিতে ডিপোতে কর্মরত অন্যান্য কর্মচারীরা প্রায় ভয়ে পালিয়ে গেলে দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের এবং আমাদের ভাড়াটিয়ার বাবসা প্রতিষ্ঠানের ২টি কক্ষে প্রবেশ করে সেখানে থাকা চেয়ার টেবিল, এসি, স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর ও লুটতরাজ করে যার অনুমান বাজার মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। এসময় অফিসের লকার ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ নিয়ে গেলেও পুলিশ নীরব দর্শকের মতন দাঁড়িয়ে থাকে৷ পরে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি থানায় নেই এই অজুহাতে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে৷ পরে সিএমপি'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানালে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর গত মধ্য রাতে মামলাটি রুজু করে। মামলায় জানে আলমকে প্রধান আসামি ও অন্য চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এই বিষয়ে জানতে বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও ওসি তদন্তকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
বাবু/জেএম