সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫ ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫
প্রধান শিক্ষকের দাবি ‘আমাকে বাধ্য করা হয়েছে’
ডোমারে ভিডিও কেলেঙ্কারি
রতন কুমার রায়, ডোমার (নীলফামারী)
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৩, ৭:০২ PM
নীলফামারীর ডোমারের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিও টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে। তবে ওই প্রধান শিক্ষক জোড় দাবি করে বলছে টাকা না দেওয়ায়, আমাকে ভয় দেখিয়ে জবরদস্তি করে ভিডিও করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আলমগীর কবীর নামে একটি ফেসবুক আইডিতে দু’টি ভিডিও পোস্ট করে। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতে একটি স্কুলের রাস্তায় অন্ধকারের মধ্যে এক যুবক ওই প্রধান শিক্ষকের কোমরের বেল্ট ধরে নিয়ে যাচ্ছে। আরেকজন তাকে জিজ্ঞেসা করছে। অপর আরেকজন ভিডিও ধারণ করছে।

এরপর ৪০ সেকেন্ডের আরেকটি ভিডিওটিতে দেখা গেছে, একটি রুমের মধ্যে প্রধান শিক্ষক একটি কাগজে লেখা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে। সেখানে তিনি বলেন ‘আমি ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক।’ বিষয়টি নিয়ে ডোমারে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক সমাজের মধ্যেও দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা নিয়ে স্থানীয় কিছু যুবক আমার কাছে টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করার পর থেকেই তারা আমার ও স্কুলের পিছনে লেগে রয়েছে। একদিন রাতে স্কুলের কাজ শেষে বাজারে আসার পথে স্থানীয় সেইসব যুবক আমাকে আটক করে। তারপর  চঞ্চল নামে একজনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সাজানো কথা আমার মুখ দিয়ে বলিয়ে ভিডিও ধারণ করে। তিনি বলেন বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আমি স্কুলের সভাপতিকে অবগত করেছিলাম। তারা টাকা না পেয়ে আমার ও স্কুলের সুনাম নষ্ট করার পায়তারা করছে।

বিদ্যালয়টির অভিভাবক সদস্য রুহুল আমিন ও হুমায়ুন কবির বলেন, ওই রাতে রাস্তায় কয়েকজন যুবক প্রধান শিক্ষককে আটক করে তার কাছে জোর পূর্বক জবানবন্দি আদায় করে ভিডিও ধারণ করেন। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রবিউল হক রতন, মোসাদ্দেক হোসেন সাজু, এবাদত হোসেন চঞ্চল ও আলমগীর কবীসহ ৪ জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি ডিবির কাছে তদন্তাধীন রয়েছে।

বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌর মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু বলেন, সেদিনের ঘটনা আমাকে প্রধান শিক্ষক বলেছিলো। স্কুলের প্রয়োজনে নিয়ম মাফিক গাছ কাটা হলে স্থানীয় কিছু ছেলে প্রধান শিক্ষকের নিকট টাকা দাবি করলে আমি প্রধান শিক্ষককে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলেছিলাম। এখন সেই সব ছেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষককের কাছ থেকে জোর পূর্বক কথা বলিয়ে সাজানো ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার জন্য সেই সব যুবকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপরে ফেসবুকে পোষ্ট করা আলমগীর কবিরের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত