ক্যাম্পাস জুড়ে বহিরাগতের দৌরাত্ম
ক্যাম্পাসে মাদক সরবরাহ করে বহিরাগতরা
ক্যাম্পাসে বেপরোয়া গতিতে চলে বহিরাগতের মোটরসাইকেল শোডাউন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) জুড়ে বহিরাগতদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাদক সেবন, মাদক সরবরাহ, চুরিসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন কয়েকজন বহিরাগত। এছাড়াও ক্যাম্পাসে দিন দুপুরে বেপরোয়া গতিতে বাইক শোডাউন দিতে দেখা যায় বহিরাগতদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন সিনিয়র কর্মীর ইন্ধনে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এরূপ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের জন্য বহিরাগতরা মাদক সরবরাহ করে থাকেন বলে জানা যায়।
তথ্য নিয়ে জানা যায়, ক্যাম্পাসের মফিজ লেক এলাকায় মাদক সেবন করে বহিরাগতরা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের হাতে মাদক পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরাপদ স্থান হিসাবে মফিজ লেক সংলগ্ন এলাকা ব্যবহার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, সব বহিরাগত খারাপ এটা বলা কখনও ঠিক হবে না। ক্যাম্পাসে কিছু চিহ্নিত বহিরাগত আছেন। এরা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত। এদেরকে ইন্ধন যোগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী। যেটা দুঃখজনক বলা চলে। দ্রুত এসব চিহ্নিত বহিরাগতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিলে সব সমস্যা শেষ হবে। চিহ্নিত বহিরাগতদের শনাক্ত করতে খুব কষ্ট হবে না কারণ এরাই বরাবর অপকর্মে জড়িত থাকে।
এদিকে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ও বাহিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে চালানো হয় অভিযান। তবুও নানা অপকর্মের সাথে জড়িত বহিরাগতদের দৌরাত্ম কমানো সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক এলাকায় কয়েকজন বহিরাগতকে মাদক সেবন করা অবস্থায় দেখা যায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়ার বডি তাদের শনাক্ত করতে গেলে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউন্ডারি দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, বহিরাগতদের ব্যাপারে আমরা সব সময় কঠোর। তবে সব মিলিয়ে বহিরাগতদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাবু/জেএম