সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫ ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২
সোমবার ২৮ জুলাই ২০২৫
উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক রাজনীতি
আবদুল মান্নান
প্রকাশ: শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩, ৩:১৭ PM
আমার ক্লাসে আমি সব সময় আমার শৈশব, বেড়ে ওঠা আর বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরের কথা বলি। এই প্রজন্ম আমার কথা অনেকটা অবাক হয়ে শোনে। দু-একজন প্রশ্ন করে জানতে চায়, ‘স্যার, আপনি কি এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন?’ বলি, ‘হ্যাঁ, করেছি।’ এই প্রেক্ষাপটে যেদিন বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ ক্লাবে প্রবেশের কথা, সেদিন ক্লাসে শিক্ষার্থীদের বললাম, ‘আমি একদম শহরের ছেলে।

আমার কলেজজীবন পর্যন্ত আমি কেরোসিনের হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা করেছি। সেই কেরোসিন আবার দুই রঙের লাল আর সাদা। লালটা গরিবের জন্য আর সাদাটা একটু পয়সাওয়ালাদের জন্য।’ ছাত্ররা অবাক হয়ে শোনে।

সেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম ও দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশে রপান্তরিত হতে চলেছে। যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি অন্যতম পূর্বশর্ত তার উন্নত পরিকাঠামো, যার মধ্যে আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ। গত ১০০ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা নানা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে। একসময় এই দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো কয়লা বা জ্বালানি তেল ব্যবহার করে।

পঞ্চাশের দশকে তৈরি হলো কাপ্তাই জল বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার উৎপাদনক্ষমতা ছিল ২০০ মেগাওয়াট, কিন্তু বাস্তবে কদাচিৎ ৬০ মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদিত হয়েছে। সেই উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করতে গিয়ে একটি জনপদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সৃষ্টি করা হয়েছিল একটি মানবিক বিপর্যয়, আর তাকে কেন্দ্র করেই পরবর্তী সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছিল ভ্রাতৃঘাতী রক্তাক্ত অধ্যায়, যা চলেছে প্রায় চার দশকের বেশি সময়। তার আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটেছিল শেখ হাসিনার হাত ধরেই, ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশের জন্মের সময় এ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ছিল ৫০০ মেগাওয়াটের কম। এমন তথ্য দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রী ড. মফিজ চৌধুরী তাঁর গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা’য়।

উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক রাজনীতিদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সামনে একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল বিদ্যুৎ উৎপাদন। বঙ্গবন্ধু এটি ঠিকই বুঝেছিলেন বাংলাদেশের অর্থনীতি চিরদিন কৃষিনির্ভর থাকতে পারে না। তিনি অনুধাবন করেছিলেন বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তাঁর প্রয়োজন অর্থনীতিকে শুধু কৃষির ওপর নির্ভরশীল না রেখে অন্য খাতের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া, যার মধ্যে শিল্প খাত অন্যতম। তবে তা করতে হলে অনেক কিছুরই জোগান চাই। অবিভক্ত পাকিস্তানের ২৩ বছর সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালির পক্ষে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা ছিল অসম্ভব। যে দু-একজন শিল্পপতি এই দুরূহ কাজটি করতে পেরেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন প্রয়াত এ কে খান। তাঁর একটি ছোট দিয়াশলাই তৈরির কারখানা ছিল। তিনি তা সম্প্রসারণ করার জন্য ব্যাংক থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ চেয়েছিলেন। সব ব্যাংক পশ্চিম পাকিস্তানিদের মালিকানাধীন। তাদের কোনো ব্যাংক থেকে এক টাকাও ঋণ পাননি—এমন কথা তিনি আমাকে দেওয়া তাঁর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। ঋণ পেয়েছিলেন বিদেশি লয়েডস ব্যাংক থেকে।

শিল্পখাত উন্নয়নের প্রথম ভিত্তি ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি মালিকদের ফেলে যাওয়া সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান জাতীয় করা। ব্যাংক, বীমা, পাটসহ আরো বেশ কয়েকটি শিল্প ক্ষমতায় গেলে জাতীয় করা হবে, তা আওয়ামী লীগের সত্তরের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়া ক্ষমতায় এসে এসব কলকারখানা দলীয় নেতাদের কাছে পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। কালো টাকাকে সাদা করার সংস্কৃতি শুরু জিয়ার হাত ধরে। বলেছিলেন, যাঁরা এই কাজটি করবেন, তাঁরা এসব শিল্প-কারখানা কিনে নিতে পারবেন। কালোবাজারি, ঘুষখোর, সামরিক-বেসামরিক দুর্নীতিবাজ আমলা, রাজনীতিবিদ সবাই এই সুযোগ গ্রহণ করে পানির দরে কিনে সেসব জাতীয় করা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরে চড়া দামে বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। এ দেশে তখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের একমাত্র উৎস ছিল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বেশির ভাগ শহরে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো স্থানীয়ভাবে, আমদানি করা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে। যেকোনো আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রয়োজন, যা ছিল না বাংলাদেশের। ১৯৬১ সালে আইয়ুব সরকার ঘোষণা দিয়েছিল, এ দেশে একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হবে, যা ১৯৭০ সালে বাতিল করা হয়। বাতিলের আশঙ্কায়ই বঙ্গবন্ধু ১৯৬৯ সালের অক্টোবর মাসে জোর দাবি জানান পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের। অথচ ঠিকই ১৯৬৬ সালে করাচিতে নির্মাণকাজ শুরু হয় পাকিস্তানের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের, যা শেষ হয় ১৯৭১ সালে (দৈনিক বাংলা, ২২ মে ১৯৭২)।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেসব খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তার অন্যতম ছিল অবকাঠামোগত। চট্টগ্রাম আর মোংলা বন্দর থেকে শুরু করে দেশের প্রথম দুটি বৃহৎ রেল সেতুÑ হার্ডিঞ্জ আর মেঘনা রেল সেতু, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা, চার হাজারের মতো ব্রিজ-কালভার্ট ধ্বংস, কোনো কিছুই বাদ যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন দেশের সব ভেঙে পড়া কাঠামো মোটামুটি তিনি দাঁড় করিয়ে ফেলেছিলেন। চট্টগ্রাম আর মোংলা বন্দরকে ভাসমান মাইনমুক্ত করার জন্য এগিয়ে এসেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। সেই বাংলাদেশকে পরমাণু বিদ্যুৎ ক্লাবে সদস্য করার জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেই রাশিয়া, যা গত ৭ তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন যৌথভাবে জ্বালানি হস্তান্তরের মাধ্যমে তার প্রাথমিক উদ্বোধন করেন। যে দেশটি যাত্রা শুরু করেছিল মাত্র ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন দিয়ে, সেই বাংলাদেশ বর্তমানে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম, যার প্রায় ২১ হাজার মেগাওয়াট শেখ হাসিনার বর্তমান তিন মেয়াদে সম্ভব হয়েছে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট, যার একেকটি দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা শুধু বাংলাদেশকে অভিনন্দনই জানায়নি, তার সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি ভিয়েনা থেকে তারবার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে তার প্রত্যাশিত উন্নত বিশ্বের তালিকায় নিয়ে যেতে সহায়তা করবেন, যা এরই মধ্যে শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। বলতে হয় এ যেন বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর দেশটি ২১ বছর সরাসরি সেনাশাসন বা সিভিল শাসনের আড়ালে আধা সেনাশাসনের অধীনে ছিল। সেনা শাসনের অধীনে কোনো দেশের অগ্রগতি যে হয় না জিয়া আর এরশাদের শাসনকাল তার উজ্জ্বল প্রমাণ। খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদের শাসনকাল কিছুটা ভালো হতে পারত, কিন্তু তা হয়নি। কারণ তিনি দেশ শাসনে যত না উৎসাহী ছিলেন, তার চেয়ে বেশি নজর দিয়েছিলেন ক্ষমতাভোগের ওপর। আর দ্বিতীয় মেয়াদে (২০০১-২০০৬) খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশ শাসনে ভাগ বসিয়ে সমান্তরাল শাসন ব্যবস্থা শুরু করেছিলেন তাঁর জ্যেষ্ঠ সন্তান লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান। সেই সময় দেশ হয়ে উঠেছিল জঙ্গিবাদ আর দুর্নীতির চারণভূমি। 

বাংলাদেশের রাজনীতি বর্তমানে এমন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছে যে শেখ হাসিনার সরকার যা-ই করুক, বিরোধী দল তাতে বড় গলদ দেখে অথবা এই কাজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন করে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছিল, তখন খালেদা জিয়া সবার উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বললেন, তারা যেন এই সেতুতে না ওঠে। কারণ এই সেতু জোড়াতালি দিয়ে বানানো হচ্ছে। যখন সেতু হয়েই গেল, তখন তাঁরা প্রশ্ন তুললেন তার ব্যয় নিয়ে। বললেন, পদ্মা সেতুর চেয়ে ভারতের আসামের দ্বিগুণ দীর্ঘ ভূপেন হাজারিকা সেতুর চেয়ে কেন পদ্মা সেতুর ব্যয় এত হবে? তাঁরা বুঝতে অক্ষম যে দুই সেতু এক নয়। আমি নিজে ভূপেন হাজারিকা সেতু দিয়ে গেছি। এই সেতু অনেকটা সেনাবাহিনীর ব্যবহারের জন্য জলাভূমির ওপর নির্মিত। বেশির ভাগ অংশ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে স্টিল। পদ্মার ওপর সেতু এখন বিশ্বের প্রকৌশল বিজ্ঞানে একটি অসম্ভবকে সম্ভব করার উদহারণ হিসেবে গণ্য করা হয়। একেবারে নিম্ন মেধার মানুষ না হলে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে মেগাপ্রকল্পগুলো নিয়ে এমন শিশুসুলভ চিন্তা কেউ করত না। বিএনপি নেতা ড. মঈন খান একজন অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তি। উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন পদার্থবিজ্ঞানে। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রথিতযশা শিক্ষক। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বললেন, ভারতের তামিলনাড়ুর কুদামকুলাম একই মডেলের কেন্দ্র হওয়া সত্ত্বেও এই কেন্দ্র স্থাপন করার ব্যয় কেন দ্বিগুণ হলো? ড. মঈন খান হয়তো এই বিষয়টি বুঝতে পারেননি যে একই ধরনের দুটি প্রকল্পের ব্যয় কখনো এক হয় না। সময়ের সঙ্গে প্রকল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য বাড়ে, বৈদেশিক মুদ্রার মূল্যের বড় ধরনের হেরফের হতে পারে। এই প্রকল্পে ব্যবহৃত অনেক কাঁচামাল ভারতে সহজলভ্য, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঘটে না। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, ড. মঈন খান বা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বা বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর হাফিজ উদ্দিন (অব.)-এর মতো মানুষকেও তারেক রহমানকে নেতা মেনে এ দেশে রাজনীতি করতে হয়। আর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল তো এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বললেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সব শেষ। বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ যখন মহাশূন্যে গেল, তখন এই মির্জা সাহেব বললেন, ‘আগে ঘুরুক তারপর দেখা যাবে।’ সেই উপগ্রহ শুধু ঘুরছেই না, মির্জা সাহেবরা তার সুবিধাও নিচ্ছেন। সেই জোড়াতালি দেওয়া পদ্মা সেতু, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালÑ এসব কোনো কিছুরই বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। মির্জাদের ভাষায় ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মঙ্গলবার ট্রেন চলল। বিএনপি বা তাদের সদ্য গজিয়ে ওঠা মিত্রদের কথা মানলে ধরে নিতে হবে কখনো বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব ধ্বংস করে ফেলা হবে। এটাই তাদের ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’!


লেখক : শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বিশ্লেষক

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত