সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫ ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
সোমবার ৭ জুলাই ২০২৫
সতর্ক সংকেত ও প্রচারণা না থাকায় সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় হামুনে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার
নিহত ৩, আহত শতাধিক, বিদ্যুৎ বন্ধ, পানির সংকট
মহিউদ্দিন মাহী, কক্সবাজার
প্রকাশ: বুধবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩, ৮:৫৫ PM আপডেট: ২৫.১০.২০২৩ ৮:৫৯ PM
আচমকা ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে পুরো কক্সবাজার। গাছ পড়ে নিহত হয়েছে ৩ জন, আহত শতাধিক। কাঁচা ঘরবাড়ি ও প্রচুর গাছপালা ভেঙে গেছে জেলা শহরসহ উপকূলীয় এলাকাজুড়ে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজারে বিদ্যুৎ লাইনের। ঝড়ের থাবায় গাছপালা ছাড়াও বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে টুকরো হয়ে গেছে।

প্রচুর গাছপালা ভেঙে যাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক লাইন উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল টাওয়ারগুলো অচল হয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় হামুন সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার বেগে তাণ্ডব চালিয়েছে কক্সবাজারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাবাস না থাকায় সবচেয়ে বেশি কক্ষক্ষতির শিকার হয়েছে কক্সবাজারে। ১০ নং বুলেটিনে ৬ নং সতর্ক সংকেত দিয়েছিল। হঠাৎ সন্ধ্যা ৬ টায় কক্সবাজারে ৭ নং সতর্ক সংকেত দেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। 
কক্সবাজারের স্থানীয়দের অভিযোগ, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার পৌরসভার পক্ষ থেকে কোন ধরণনের সতর্কতা ছিলো না। তারা নামে মাত্র জুমে মিটিং করে সীমাবদ্ধ। কোন মিডিয়ায় বিস্তারিত জানায়নি কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। এই কারণে ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় জেলার ৯টি উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক খবরে কুতুবদিয়া দ্বীপে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। পর্যটন শহর কক্সবাজারেও গাছপালা এবং কাঁচা বাড়ি-ঘর ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও বাসভবনেরও প্রচুর গাছপালা ভেঙে গেছে। এমনকি জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও জেলা আইনজীবী ভবন সংলগ্ন দীর্ঘদিনের পুরনো কয়েকটি বট ও শিশুগাছও উপড়ে পড়েছে। গাছপালা ভেঙে যাওয়ায় জেলার বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগও সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। 

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ জানান, ‘এবারের ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত এমন প্রচণ্ড গতির হবে, সেটা ছিল কল্পনাতীত। হামুনের আঘাতে আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন তিনটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে বড় আকারের একটি শিশুগাছও উপড়ে পড়েছে। 

শহরের এন্ডারসন রোডের বাসিন্দা ইব্রাহিম জানান, বিদ্যুৎসংকটের কারণে জেনারেটরের চাহিদাও বেড়ে গেছে। টাকা দিয়েও জেনারেটর মিলছে না।

এদিকে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, প্রধান সড়কের হলিডে মোড, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।এছাড়া খুরুশকুলের পুরো এলাকার ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। কক্সবাজারে কক্ষক্ষতির পরিমান হিসেব করার মতো নয় ইতিমধ্যে কক্সবাজারে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। খাবেরর ও ব্যবহারোর পানি নাই বললেই চলে। যেসব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেই বাড়িগুলো তৈরিতে বিত্তশালীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজারবাসি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত