লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেড়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়ে উভয় পক্ষের প্রায় ৩ জন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
সোমবার সকালে উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এদিকে এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আহতরা হলেন, উপজেলার টংভাঙ্গা এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম ও আজিজুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম(৩০) ও আলী আকবরের ছেলে রবিউল ইসলাম(৩৫)। রবিউল ইসলাম উপজেলার সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক।
জানা গেছে, আহত আজিজুল ইসলামের সাথে আহত শিক্ষক রবিউল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সেই বিরোধের জেড়ে সোমবার সকালে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা বাধে। এর এক পর্যায়ে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের তিনজন আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে আহত আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের জমিতে ভুট্টা লাগাবো তাই সকালে জমি চাষ শুরু করি। এ সময় তারা এসে আমাদের ভুট্টা লাগাতে বাধা দেয় আমরা বাধা না মানলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। তারা আমাকে মেরে দাঁত ভেঙ্গে দিছে ও আমার স্ত্রীকেও মারধর করেছে। আমার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে আহত মাদ্রাসা শিক্ষক রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা তাদেরকে আমাদের জমিতে থাকতে দিয়েছিলাম। পরে তারা সেই জমি কিনে নেয়। কিন্ত যতটুকু কিনেছে তার চেয়ে বেশি দাবী করে চাষাবাদ শুরু করে। আমরা বাধা দিলে উল্টো তারাই আমাকে মারধর করে। আমি তাদের কোন মারধর করিনি। তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমি হাসপাতালে ভর্তি তাই আমার থানায় অভিযোগ দিতে দেরি হচ্ছে। আমিও থানায় অভিযোগ করবো।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনারুল ইসলাম বলেন, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, একটি পক্ষ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।