ঈশ্বরদীতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ইঞ্জিনচালিত করিমনের সংঘর্ষে স্কুলছাত্র মিতুল হোসেনের (১৬), সিয়াম সরদার (১৬) এর মৃত্যুর পর এবার চলে গেলেন তার বন্ধু বিশাল হোসেন (১৫)। বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিশাল এর মৃত্যু হয়।
নিহত বিশাল উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মন্ডলের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। একসাথে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
গত (৬ নভেম্বর) সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দিনই মারা যায় মিতুল। মিতুল ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ড্রেস মেকিং বিভাগের ছাত্র ও উপজেলার আথাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। ঘটনায় আহত হন- একই শ্রেণীর বিশাল (১৫) ও সিয়াম (১৫)। তাদের দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে মারা যায় সিয়াম। সিয়াম দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শিহাব সরদারের সন্তান।
ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সুপারেনট্যান্ড রফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত তিনজনই আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণীর ছাত্র। ইনস্টিটিউটে নির্বাচনী পরীক্ষা চলছে। এরা মোটরসাইকেলে পরীক্ষা দিতে আসছিল।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল জানান, সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিন দিনের ব্যবধানে তিনজনই মৃত্যুবরণ করেন।