রবিবার ২২ জুন ২০২৫ ৮ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ২২ জুন ২০২৫
শৈশবে বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন
ড. মো. শফিকুল ইসলাম
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৩:২৮ PM আপডেট: ০৯.১১.২০২৩ ৩:৩৫ PM
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির গর্ব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। বাংলাদেশের জননেতা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতা বঙ্গবন্ধু। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলার বিশাল জনতা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করে। তিনি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ লুৎফর রহমান এবং মা সায়েরা খাতুন। তিনি তাঁর কন্যা এবং দুই পুত্রের মধ্যে তৃতীয় সন্তান ছিলেন এবং তাকে আদর করে ‘খোকা’ বলা হত।

বঙ্গবন্ধুর যৌবন কেটেছে টুঙ্গিপাড়ায়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধিতে। টুঙ্গিপাড়া গ্রামে শেখ মুজিবুর রহমান দেখেছিলেন ফুলেভরা সবুজ ও সুন্দর বাংলা। তিনি আধুনিক বাংলার আলো-বাতাসে লালিত-পালিত হয়েছেন। তিনি দোয়েল ও বাবুই পাখিকে খুব ভালোবাসতেন। বাড়িতে পালতেন শালিক ও ময়না। নদীতে লাফ দিয়ে আবার সাঁতার কাটতেন। পশু-পাখির প্রতি ছিল তাঁর গভীর মমতা। তিনি খালের পাড়ে বসে মাছ ধরার লাইন কীভাবে ডুবে গেছে তা পর্যবেক্ষণ করতেন। ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা। গ্রামের ছোট ছেলেদের সাথে মাঠে হাঁটতে ও প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে পছন্দ করতেন। এভাবেই তাঁর শৈশব কেটেছে মেঠো পথের ধুলোয় আর বৃষ্টির কাদায় ভিজে। গ্রামের মাটি ও মানুষ তাকে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে। 

তাঁর বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে একজন বিজ্ঞ আইনজীবী হবে। টুঙ্গিপাড়ার সেই শেখ বাড়ির দক্ষিণে ছিল কাছারি ঘর,  যেখানে মাস্টার, পণ্ডিত ও মৌলভী সাহেবদের কাছে ছোট্ট মুজিবের হাতেখড়ি। শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব শিক্ষা শুরু হয় তাঁর বোনদের কাছে বাড়িতে। ১৯২৭ সালে সাত বছর বয়সে বঙ্গবন্ধু স্থানীয় গিমাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হন। বঙ্গবন্ধু এই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। পরে লেখাপড়ার সুবিধার জন্য তিনি গোপালগঞ্জ শহরে পিতার কর্মস্থলে চলে আসেন। এখানে তিনি চতুর্থ শ্রেণিতে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন। তিনি বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতেন। ইতিহাসের বই পছন্দ করত। এসব কারণে শেখ মুজিব প্রধান শিক্ষক গিরিশ চন্দ্রসহ সকল শিক্ষকের প্রিয় হয়ে ওঠেন। ১৯৩৪ সালে, যখন তিনি এই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত, তখন তিনি বেরিবেরি রোগে আক্রান্ত হন। চোখের চিকিৎসার জন্য তাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শিক্ষাজীবনের দুই বছর নষ্ট হয়। ১৯৩৬ সালে তার পিতা মাদারীপুর মহকুমার সেরেস্তাদার হিসেবে বদলি হন। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে যান। মাদারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু আবার চোখের রোগে আক্রান্ত হন। এবার তাঁর  গ্লুকোমা ধরা পড়ল। তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে যান বিখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. টি. আহমেদকে দেখানো হয়েছে। ডা. টি আহমেদ বঙ্গবন্ধুর চোখের অপারেশন করেন। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে সুস্থ হলেন। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ১৯৩৭ সালে আবার বদলি হয়ে গোপালগঞ্জ শহরে চলে যান। যথারীতি বঙ্গবন্ধুও বাবার সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরে যান। এবার সে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হলো। চোখের রোগের কারণে চার বছর ধরে তার পড়ালেখা বন্ধ ছিল। অবশেষে, বঙ্গবন্ধু সেই স্কুল থেকে ২২ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স (এসএসসি) পাস করেন। তারপর উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি কলকাতায় চলে যান। ইসলামিয়া কলেজে ভর্তি হন। সেই কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৪ সালে আইএ এবং ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। সে বছর ভারত বিভক্ত হলে এবং পাকিস্তানের জন্ম হলে তিনি কলকাতা থেকে তার জন্মস্থান পূর্ববঙ্গে চলে আসেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তাঁর জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অধ্যায় শুরু হয়। শৈশব থেকেই শেখ মুজিব ছিলেন একজন মানবহিতৈষী এবং অন্যায়ের প্রতিবাদী। মানুষের দুঃখ-কষ্টে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন, কারো প্রতি অবিচার দেখলে প্রতিবাদ করতেন। মাত্র তেরো বছর বয়সে তিনি প্রতিবাদের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। কচিকাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তার প্রিয় সংগঠন। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌবনে কচিকাঁচার আসরে ভর্তি হয়েছিলেন। জীবনের শেষ দিনটা কাটিয়েছেন এই সংগঠনের ভাইবোনদের মাঝে। তাঁর জন্মদিন এখন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হয়। শিশুদের জন্য দিনটি আনন্দের।


বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই গ্রামীণ সমাজ-দুঃখ, হাসি-কান্নার মুখ গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। তৎকালীন সমাজজীবনে শৈশব থেকেই তিনি জমিদার, তালুকদার ও অর্থদাতাদের অত্যাচার, শোষণ ও নিপীড়ন দেখেছেন। গ্রামের হিন্দু ও মুসলমানের সম্মিলিত সামাজিক পরিবেশে তিনি ধর্মনিরপেক্ষতায় দীক্ষিত হন। আর আশেপাশের দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে সাধারণ দুঃখী মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসায় আপ্লুত করে। আসলে সমাজ ও পরিবেশ তাকে শিখিয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জন্য লড়াই করতে। তাই পরবর্তী জীবনে তিনি কখনো আত্মসমর্পণ করেননি বা কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করেননি, তা যত বড়ই হোক না কেন। বিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক একবার তাদের স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের বিদ্যালয়ের মেরামতের জন্য তহবিল মঞ্জুর করেন। শেখ মুজিব দেশের পক্ষে ভাষণ দেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক জীবন ছিল গৌরবময় ও আনন্দময়। বাংলাদেশের টুঙ্গিপাড়ার শেখ পরিবার একটি সংস্কৃতিমনা ও রাজনৈতিক সচেতন পরিবার। পরিবারে সমাজসেবার ঐতিহ্য রয়েছে। শেখ পরিবারের পূর্বপুরুষরা ইসলাম প্রচারে এসে পরে ব্যবসা করে বিখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত হন। একদিকে শেখ পরিবার বাংলাদেশের ইতিহাসে শীর্ষে আরোহণ করছে। অন্যদিকে ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারটি। শেখ পরিবারের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিয়ের কথা প্রচলিত ছিল। বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান তাঁর চাচাতো বোন সায়েরা খাতুনকে বিয়ে করেন। দশ বছর বয়সে শেখ মুজিবুর রহমান তার ৩ বছর বয়সী চাচাতো বোন শেখ ফজিলাতুন্নেসা রেনুকে বিয়ে করেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা রেনু ১৯২৮ সালের ৮ আগস্ট টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ জরিহুর হক এবং মাতার নাম হোসনে আরা বেগম। তারা দুই বোন ছিল। বড় বোন জিন্নাতুন্নেসা। শৈশবে তার চাচাতো ভাই শেখ মুসার সাথেও তার বিয়ে হয়েছিল। ফজিলাতুন্নেছা তিন বছর বয়সে বাবাকে এবং পাঁচ বছর বয়সে মাকে হারান। ফজিলাতুন্নেসার দাদা শেখ কাশেম তার নাতনিকে শেখ মুজিবের সাথে বিয়ে করেছিলেন যখন তিনি শিশু ছিলেন। পিতৃহীন রেনুকে শেখ মুজিবের বাবা-মা দত্তক নিয়েছিলেন। ফজিলাতুন্নেছা শেখ মুজিব ও তার ভাইবোনের মতো একই পরিবারে বেড়ে ওঠেন। ছোটবেলার খেলার সাথী থেকে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধুর জীবনসঙ্গী। ১৯ বছর বয়সে, বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ বছর বয়সী ফজিলাতুন্নেছার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ফজিলাতুন্নেছা প্রাথমিক শিক্ষা বাড়িতে এবং প্রাথমিক শিক্ষা গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে লাভ করেন। উচ্চশিক্ষা নিতে পারেননি। ছোটবেলা থেকেই বাবা শেখ লুৎফর রহমানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছিল দারুণ সম্পর্ক। বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি পরিবারকে খুব পছন্দ করতেন। সেই ভালোবাসার কথাগুলো বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময়ে ব্যক্ত করেছেন। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, 'আমি আমার বাবার কাছ থেকে পড়াশোনা করি। বাবার কাছে ঘুমাতাম। রাতে ওর ঘাড় চেপে না ঘুমালে আমি ঘুমাতে পারতাম না। আমি বংশের বড় ছেলে। তাই এটা সব আমার ছিল. কিন্তু তিনি তার বাবাকেও ভয় পেতেন, যা শৈশবের দুঃসময়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিটি শিশুর মতো। বঙ্গবন্ধু বলেন, আমার বাবা মাঝে মাঝে অধৈর্য হয়ে যেতেন। ছোট শহর বলে অভিযোগ করতাম, বাবাকে খুব ভয় পেতাম। তার শৈশবের দুঃসাহসিকতার একটি সহজ স্বীকারোক্তি তার নিজের মুখে পাওয়া যায়। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, ছোটবেলায় আমি খুব দুষ্ট ছিলাম। খেলাধুলা করতেন, গান গাইতেন এবং ব্রতচারীও খুব ভালো করতে পারতেন। আরেক জায়গায় বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমি খুব জেদি ছিলাম। আমার একটা দল ছিল। কেউ কিছু বললেও রেহাই ছিল না। আমি মারতাম আমার দলের কেউ কিছু বললে আমরা একসাথে লাফ দিতাম।
স্কুলজীবনেই বাঙালির বলিষ্ঠ অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর চেতনার জাগরণ শুরু হয় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের আন্দোলনকারী, বীর সেনানী ও বঙ্গবন্ধুর গৃহশিক্ষক কাজী আবদুল হামিদ থেকে। কাজী আবদুল হামিদ বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন আন্দোলনকারী হওয়ায় তাকে আত্মগোপন করতে হয়। বঙ্গবন্ধুর সদা সংগ্রামী পরিবার তাকে ঘরে লুকিয়ে থাকার সুযোগ করে দেয়। তার মুখ থেকে বঙ্গবন্ধু শুনেছিলেন শক্তিশালী মাওবাদীদের দ্বারা দুর্বলদের শোষণ-নিপীড়নের ইতিহাস। তাঁর কাছ থেকেই বঙ্গবন্ধু প্রথম বিপ্লবী চেতনা শিখেছিলেন। তিনিই প্রথম বঙ্গবন্ধুকে আলোকিত করেন। সেই বিপ্লবী শিখাকে মনের মধ্যে রেখেই বঙ্গবন্ধু এগিয়ে ছিলেন জীবনে।

ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আরেকটি গুণ ছিল চোখে পড়ার মতো। নিয়মিত পত্রিকা পড়তেন। বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, ‘আমার বাবা পত্রিকা রাখতেন। আনন্দবাজার, বসুমতি, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও সওগাত। ছোটবেলা থেকেই সব কাগজ পড়তাম।’ স্কুল জীবনে বঙ্গবন্ধু সব বিষয়ে সমান পারদর্শী হলেও তাঁর ভয় ছিল শুধু গণিতে। মূলত শেখ মুজিবের রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয় কিশোর বয়সে। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, যিনি বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনের রাজনৈতিক সূচনা। ১৯৩৮ সালে গোপালগঞ্জে দুজনের প্রথম দেখা হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে বঙ্গবন্ধু সর্বদা শহীদ সাহেব বলে ডাকতেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘শহীদ সাহেব মিশন স্কুল দেখতে গিয়েছিলেন। আমি মিশন স্কুলের ছাত্র। তাই আমি তাকে স্বাগত জানালাম। তিনি স্কুল পরিদর্শন করে লঞ্চের দিকে হেঁটে গেলেন। আমিও সঙ্গে সঙ্গে চলে গেলাম। তিনি আমাকে ভাঙা ভাঙা বাংলায় কিছু জিজ্ঞেস করছেন এবং আমি উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে আমার নাম জানতে চাইলেন এবং আমার বাড়ি কোথায়। একজন সরকারি কর্মচারী আমার বংশের কথা বলে পরিচয় করিয়ে দিলেন।আমাকে কাছে ডেকে,আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,আপনার এখানে মুসলিম লীগ ছিল না? আমি বললাম, "কোন সংগঠন নেই, মুসলিম ছাত্রলীগ নেই।’ শহীদ সাহেব আর কিছু বললেন না। তিনি শুধু একটা চিরকুট বের করে আমার নাম ঠিকানা লিখে দিলেন। এরপর থেকে তাদের নিয়মিত চিঠিপত্র, বৈঠক হয় এবং ধীরে ধীরে তা গুরুশিষ্য সম্পর্কে গড়ে ওঠে। যা আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ।

দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান কখনোই অস্বীকার করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের একজন মহান মানুষ ও সাহসী নেতা। তাঁর শৈশবের দিনগুলো ছিল দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাহ্যিক পরিস্থিতিতে ঘেরা। বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে শিখিয়েছেন কীভাবে বুক উঁচু করে বাঁচতে হয়। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে বাঁচতে সাহস শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। আজ আমরা তাঁর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ  

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত