গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পশ্চিমখন্ড (কড়ইতলা) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওমর ফারুক গং বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন, কেওয়া পশ্চিমখন্ড (কড়ইতলা) এলাকার ওমর ফারুক (৪৫), মাঈনুদ্দিন (৫৫), উসমান (৪০), মমতাজ (২৮) এবং সাগর মন্ডল (১৮)। গুরুতর আহত ওমর ফারুক এবং মাঈনুদ্দিনকে ময়মনসিংহ মেডকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ ও উসমান জানান, ওমর ফারুক গং পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধীয় দুই বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছে। ওই জমি নিয়ে গাজীপুর আদালতে উভয় পক্ষের দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে এবং স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সাশিল বৈঠকে বসেছে। শুক্রবার সকালে একই এলাকার লুৎফর রহমান, কাবিল মিয়া, মোহাম্মদ আলী, নাজিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ফজলুল হক, রহিম, হবি মন্ডল, ফখরুল ইসলাম, কবির, সফিকুল ইসলাম এবং জামালসহ তাদের ১৫/২০ জন সহযোগ তোফাজ্জল হোসেনের নির্দেশে দা, লাঠি, লোহর রড, শাবল নিয়ে ওমর ফারুক গংদের দখলীয় বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এসময় ওমর ফারুক, মাঈনুদ্দিন ও উসমান বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। হামলায় এক নারীসহ ৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভিযুক্ত তোফাজ্জল হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্তা নাই এবং আমার কোনো জমিও নাই। ওমর ফারুক গংদের চাচা ও ভাইদের মধ্যে দুই বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। এটা তাদের একবারেই পারিবারিক বিষয়। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আব্দুল কুদ্দুস জানান, জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে বিরোধীয় জমিতে পাই। যেহেতু ওই জমি নিয়ে আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে, তাই উভয় পক্ষকে বিবাদে না জড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয় এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি হয় এমন কোনো ঘটনা না ঘটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।