বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫ ৫ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১৯ জুন ২০২৫
নতুন কারিকুলাম প্রসঙ্গ
কে এম মাসুম বিল্লাহ
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩, ৪:৫৪ PM
ভারতীয় নায়ক আমির খানের ‘থ্রি ইডিয়টস’ চলচ্চচিত্রে দেখা যায়Ñ তার কালজয়ী চরিত্র ফুংসুং ওয়াংড়ু একজন বিজ্ঞানী যিনি বাচ্চাদের জন্য একটা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন; যেখানে বাচ্চাদের পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি হাতে-কলমে বিভিন্ন মজার জিনিস শেখানো হয়! যেখানে অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীরা মজার ছলে বিজ্ঞানের বিভিন্ন জিনিস বাস্তবে প্রয়োগ করে। তবে পর্দার এই গল্প বাস্তবে প্রয়োগ করা কতটুকু সহজ হবে সেটাই মূল বিষয়।

আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলামকে অনেকটা সে রকমই বিবেচনা করা যায়। যেখানে পুথিগত বিদ্যার পাশাপাশি বাস্তবিক জ্ঞানকে প্রাধান্য দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের জন্য নতুন এই মডেলটি প্রণয়ন করা হয়েছে যেটি গতানুগতিক কারিকুলাম থেকে অনেকটা ভিন্ন। যেখানে পাঠদানের ধরন, শিক্ষার্থীদের শেখার কৌশলেও পরিবর্তন আসবে। তবে বার বার এরকম শিক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তন কতটুকু বাস্তবসম্মত তা গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন। যেকোনো নতুন কারিকুলাম প্রবর্তন করতে গেলে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ দেশব্যাপী শিক্ষকদের নতুন এই কারিকুলাম অনুযায়ী তৈরি করা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। তবে বারংবার শিক্ষাব্যবস্থা ও কারিকুলামের পরিবর্তনের ফলে শিক্ষকদেরও নতুন নতুন পদ্ধতির সাথে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। শিক্ষকদের পুরোপুরি প্রস্তুত না করে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন হিতে বিপরীত হতে পারে। নতুন কারিকুলামে থাকছে না গ্রেডিং পদ্ধতি, সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থা জানানো হবে। ক্লাসের পাশাপাশি তাদের পোস্টারিং কুইজ, খেলাধুলা কিংবা অ্যাসাইনমেন্টের উপর নজর রাখা হবে এবং এর উপর শিক্ষররা মূল্যায়ন করবেন।  সেক্ষেত্রে প্রথাগত মার্কিংয়ের সুযোগ থাকবে না।

২০১০ সালের এসএসসি পরিক্ষায় দুটি বিষয়ে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। সৃজনশীল পদ্ধতি আসলে কতটুকু কার্যকর ছিল, এ নিয়ে এখনো আলোচনা-সমালোচনা চলে। তবে সৃজনশীল পদ্ধতি যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছিলো তা কি বাস্তবায়ন হয়েছে! মোটা দাগে বলা যায় সেটা সম্ভব হয়নি।

কেনো হয়নি? কারণ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে আছে বিস্তর ফারাক! সৃজনশীলতার শাব্দিক অর্থ দাঁড়ায় সৃজন করা কিংবা সৃষ্টিশীল। মুখস্থবিদ্যা নির্ভর পড়াশোনা থেকে বের হয়ে এসে নিজের মতো করে বুঝে পড়া ও উত্তর দেয়া ছিলো সৃজনশীল পদ্ধতির মূল বিষয়। যেখানে পড়াশোনা কিংবা পরিক্ষার মধ্যে থাকবে সৃষ্টিশীলতা। নিঃসন্দেহে সেটা ভালো উদ্যোগ ছিল, বাজারে প্রচলিত গাইড বই কিংবা শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়গুলো কমিয়ে আনা যখন উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো তার উল্টো! সৃজনশীল প্রশ্ন কিংবা উত্তর বুঝতে ছাত্রছাত্রীদের আরো বেশি করে গাইড বই কিনতে হল আর সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর বোঝার জন্য গাইড বই আরো বেশি প্রয়োজন হল। শিক্ষার মধ্যেও আরো বৈষম্য তৈরি হল। স্বাভাবিকভাবেই শহরের একজন শিক্ষার্থী গ্রামের শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া সুযোগ পেল। সৃজনশীলতার নামে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি মুখস্থবিদ্যা নির্ভর হয়ে পড়ল। অংক কিংবা ইংরেজি বিষয় কীভাবে সৃষ্টিশীল হওয়া যায় সেটি আজও বড় প্রশ্ন! তাই ঢালাওভাবে সব বিষয়ে সৃজনশীল না করে যদি সেসব বিষয়কে কিংবা অধ্যায়কে সৃজনশীলতার আওয়াতায় আনা যেগুলোকে সত্যিকার অর্থে সৃজনশীলভাবে শেখা যায় কিংবা সৃজনশীলভাবে উত্তর করা যায় তবে সেটা বেশি বাস্তববাদী হত! এছাড়াও তখনকার সময়ে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না দিয়েই এই সৃজনশীল  পদ্ধতি শুরু করা হয়েছিলো যেটা বড় এক ভুল সিদ্ধান্ত। সকল শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি করে এই পদ্ধতির শুরু করা জরুরি ছিল। এর ফলে শিক্ষকদেরও এই পদ্ধতির সাথে মানিয়ে নিতে বড় সমস্যা হয়েছে।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি ভর্তি পরীক্ষায় তিন-চার বছর আগে একটি ইউনিটে ইংরেজিতে পাশ করে মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ স্নাতক শিক্ষাবর্ষে ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ১২ দশমিক ৬৭। অর্থাৎ এ ভর্তি পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৩৩ ভাগ শিক্ষার্থী পাস নম্বর তুলতে পারেনি। তৎকালীন ঢাবি ভিসি তখন বলেছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দুর্বলতা থাকায় ঐ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এমন ফলবিপর্যয় ঘটে। অর্থাৎ সৃজনশীল হওয়াতে শিক্ষার্থীদের যে উন্নতি হওয়া কথা; সেটা কিন্তু আদৌই সম্ভব হয়নি। ইংরেজি অংক কিংবা বিজ্ঞানে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে মফস্বলের শিক্ষার্থীদের পুরাতন সমস্যা। আমাদের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার মধ্যে সমন্বয়হীনতা। গত একযুগ ধরে চলা উচ্চমাধ্যমিকে সৃজনশীল পদ্ধতি থাকলেও উচ্চশিক্ষা পদ্ধতি। কিন্তু সেই পুরাতন রীতিতেই চলছে। এতে করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত এক রকম শিক্ষা ব্যবস্থার পর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে গতানুগতিক শিক্ষা পদ্ধতি পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক,  উচ্চমাধ্যমিক এবং অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রিগুলোর একই সিস্টেমে রাখার জন্য এসব কর্তৃপক্ষের একই টেবিলে বসসা উচিত। একজন শিক্ষার্থী যখন বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা সৃজনশীল আকারে শেষ করে তাকে কিন্তু পদার্থ রসায়ন কিংবা জীববিজ্ঞানে অনার্স করতে গেলে সৃজনশীল পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় না; তখন কিন্তু আবার গতানুগতিক পড়াশুনা করতে হয়! সুতরাং সমন্বয়হীনতা এই পদ্ধতির আরো একটি বড় সমস্যা!

করোনার মধ্যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ বিশেষ করে মোবাইলের ব্যবহার। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায়ও এর প্রভাব স্পষ্ট। তবে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুটি বিশেষ সতর্কতা জরুরি। বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইজ বৈষম্য তৈরি করছে শহর-গ্রাম কিংবা ধনী-দরিদ্র ছাত্রদের মধ্যে। সামর্থ্যবানদের জন্য সহজ সেটা কিন্তু গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের জন্য মোটেও সহজ নয়। তাই এই সুবিধা থেকে হতদরিদ্র শ্রেণি বাদ পড়ায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে তাতে সন্দেহ নেই। আর ডিভাইজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অন্য সমস্যাটি আরো মারাত্মক হতে পারে। করোনা মহামারির সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় পাশাপাশি বিনোদনের প্রায় সকল ক্ষেত্র বন্ধ থাকায় এসব শিক্ষার্থীরা ডিভাইজ ব্যবহারে বেশি মনোযোগী ছিল। বিশেষ করে অনলাইন গেমে আসক্ত হওয়া নিয়ে সচেতন অভিভাবক দীর্ঘদিন থেকেই চিন্তিত সেখানে ডিভাইজ নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ডিভাইজ আসক্তি থেকে কতটুকু বের করে আনা সম্ভব হবে সেটিও ভাবনার বিষয়। শিক্ষার্থীদের ডিভাইজ আসক্তি ও এর ক্ষতিকর দিক নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। বর্তমান যুগে মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্রাইজিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই যেখানে বিভিন্ন অন্ধাকার সাইট দেখা যায়, সেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ডিভাইজ আসক্তি হতে পারে হুমকিস্বরূপ! গুগলে সার্চ করে যেমন অজানাকে জানা যায় তেমনি অপ্রাপ্তবয়স্করা নেট ব্রাইজিং করা শিখে গেলে কিছু ভয়ের কারণও কিন্তু আছে!

নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী এসএসসি পর্যন্ত পূর্বের মতো আলাদা বিভাগ থাকবে না। বিজ্ঞান বিভাগের তিনটি সাবজেক্ট পদার্থ রসায়ন ও জীববিজ্ঞান নিয়ে একটি কমন বিজ্ঞান বিষয় থাকবে তেমনি কমার্সের তিনটি বিষয় নিয়েও একটি কমন সাবজেক্ট থাকবে। সাধারন গনিত ও উচ্চতর গণিত নিয়ে একটি কমন গনিত বই থাকবে। তবে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আগের মত বিভাগ বেছে নেবার সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে নবম-দশম শ্রেণিতে আগের তুলনায় বিজ্ঞান ও গণিতের অংশ কম থাকায় উচ্চমাধ্যমিকে এসে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার যারা বিজ্ঞান ও গণিতে দুর্বল তাদের নবম দশম শ্রেণিতে আগের তুলনায় একটু বেশি এসব বিষয়গুলো পড়তে হবে।  আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে বাহ্যিক প্রয়োগের জন্য আগে তাত্ত্বিক বিষয়ের জ্ঞানও জরুরি। বিশেষ করে বিজ্ঞানের যেকোনো শাখায় কাজ করতে গেলে তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আমাদের উচ্চশিক্ষা যেমন অনার্স-মাস্টার্সের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের শাখাগুলোতে কিন্তু এখনো তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দুরকম ভাবেই শেখানো হয়। অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে যখন চাকরির পরিক্ষায় বসতে হয় তখন কিন্তু অনেকটাই মুখস্থবিদ্যা নির্ভর পড়াশোনা করতে হয়। এসময়ে বেসিক বাংলা অংক-ইংরেজির পাশাপাশি দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছেÑ প্রাথমিক মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক স্নাতক-স্নাতকোত্তর এবং তৎপরবর্তী চাকরির পরীক্ষা এগুলোর কোনোটির সাথেই অন্যটির ধারাবাহিকতা নেই। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত এক সিস্টেম, স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যন্ত অন্যরকম আবার চাকরির প্রস্তুতির পড়া অনেকটা ভিন্ন। সুতরাং এই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা উচিত। কারণ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে সৃজনশীল কিংবা তত্ত্বীয় বিষয়ে জোর কমিয়ে দিয়ে চাকরির প্রস্তুতে আবার সেই বিষয়ের বেসিক জ্ঞান পড়তে হলে উক্ত পদ্ধতির কোনো সুফল বয়ে আনছে না! তবে যেভাবে দেশে প্রতিবছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ পাঁচ বাড়ছে তাতে করে এই পদ্ধতি কতদিন চলবে সেটাও একটি ভাবনার বিষয়। ঢালাওভাবে জিপিএ পাঁচ পেলেও অনেক শিক্ষার্থীদের ইংরেজি-অংকের বেসিক দুর্বলতা যেটি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি এদের ধারণা নেই অপারেশন সার্ট লাইট সম্পর্কে কিংবা জানে না দেশের স্বাধীনতা দিবস কত তারিখে! নতুন কারিকুলামে এসব বিষয় থেকে কীভাবে সমাধান পাওয়া যাবে সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।

বর্তমানে নেওয়া কারিকুলামটি পাইলিটিং আকারে শুরু হলেও এর মধ্যেই শিক্ষক, অভিভাবক ও সচেতন মহলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই কারিকুলামে ছাপানো বইয়ের বিভিন্ন ভুল নিয়ে ইতিমধ্যে সচেতনমহল কথা বলেছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সচেতন অভিভাবক মহলও কথা বলে যাচ্ছেন।

ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করিÑ নতুন কারিকুলামের যে প্ল্যান সেটি যুগোপযোগী। তবে সেটির বাস্তবায়ন নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ শিক্ষা আমাদের দেশে যেভাবে ব্যবসায়িক রূপ নিয়েছে, যেভাবে শিক্ষার্থীরা মাঠ থেকে প্রাইভেট টিউটরদের পিছনে ছুটে জীবনের সুন্দর সময়গুলো নষ্ট করছে সেখানে এ ধরনের নতুন পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর করা সম্ভব হবে সেটিই দেখার বিষয়। সরকার যেভাবে উদ্যোগ নিয়েছে সেরকম করে কি বই প্রণয়ন সম্ভব? কিংবা শিক্ষকরা কি সেভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে স্বাচ্ছন্দ্য্যবোধ করবেন? কিংবা সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কি সেটা ভালো হবে? পরীক্ষার চাপ না থাকলে শিক্ষার্থীরা কি টেবিলে সময় দিব? এমন অনেক প্রশ্ন থাকতেই পারে।

একজন ডক্টর হতে গেলে কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে তাকে অবশ্যই তাত্ত্বিক জ্ঞান থাকা জরুরি, পাশাপাশি তাত্ত্বিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ব্যবহারিক বা বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ সম্ভব। তাই সরকারের উচিত শিক্ষক, অভিভাবক ও সচেতনমহলের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা। যেহেতু এরা মাঠপর্যায়ের স্টেইকহোল্ডার, কাজেই নতুন পদ্ধতির কারিকুলামে কী কী সংযোজন বিয়োজন দরকার; তা এসব অভিভাবক বা সচেতনমহল ভালো বলতে পারবেন। সেখানে যেসব গুরুত্বপূর্ণ মত উঠে আসবে; সেসব মতামমতগুলো কীভাবে নতুন কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা যায় বা বাদ দেওয়া যায় সেটি ভাবতে হবে। মাথায় রাখতে হবে হতদরিদ্র শ্রেণিদের কথাও, শিক্ষার উপকরণে যাতে বৈষম্য তৈরি না হয়।

লেখক : কর্মকর্তা, জনতা ব্যাংক লিমিটেড, এরিয়া অফিস, পটুয়াখালী

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত