নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিশেষ নিরাপত্তা আইনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনকে আসামি করে শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ১১.৪৫ মিনিটের সময় কেন্দুয়া থানায় মামলাটি করেন কেন্দুয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর তাপস বনিক। মামলার এজাহার নং-২৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কেন্দুয়া থানা থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ১৩ নং বিটে উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের কাশিপুর সাকিনস্থ কেন্দুয়া তাড়াইল সড়কের বাট্টা কাচারি সংলগ্ন সড়কে গত শনিবার
(১৮ নভেম্বর) রাত ১০.২০ ঘটিকায় কেন্দুয়ার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন সমর্থিত দলীয় উশৃংখল ১৪৫-১৮৫ নেতা কর্মী কেন্দুয়া থানা এলাকায় পিক আপের উপর দাহ্য পদার্থ দ্বারা অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস,ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মত অপরাধ মূলক কার্য করে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে এই ঘটনা ঘটায়।
কেন্দুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর তাপস বনিক, বলেন আসামিগণ বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস, ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের মত অপরাধ মূলক কার্য করে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সরকারের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি এবং বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্যে ক্ষতি সাধন করে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারার এবং ককটেল বিস্ফোরণ ধারার অপরাধ করেছে।তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে এজাহারে নামীয় আসামি এবং অজ্ঞাত আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহের চেষ্টা এবং পলাতক আসামিদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে থানায় এসে এজাহার দাখিল করতে বিলম্ব হলো।
কেন্দুয়া থানার এমামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নাজমুস সাকিব সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিশেষ নিরাপত্তা আইনের ১৫(৩) ও বিস্ফোরক আইনের ধারায় থানায় মামলা হয়েছে।আসামীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।