নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকায় ঘন বসতি পূর্ণ আবাসিক কুন্দল পশ্চিম পাড়ায় গড়ে উঠেছে চিপস কারখানা। প্রতিনিয়ত এই কারখানার মাত্রাতিরিক্ত শব্দ দূষণ ও পানি দূষণের জন্য অতিষ্ট এলাকাবাসী যেন দেখার কেউ নেই।
ঘন বসতি পূর্ণ আবাসিক এলাকাবাসি মিলনসহ কয়েকজন মানুষ অভিযোগ করে বলেন মেসার্স কুটুম ফুড প্রোডাক্ট প্রোপাইটর আব্দুর রাজ্জাক রকি কারখানাটি গত তিন থেকে চার বছর আগে স্থাপন করেন। প্রথমে এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা কম হওয়ায় মেশিনের পরিমাণও কম ছিল। তাই উৎপন্ন শব্দ ও পানি দূষণের পরিমাণও কম ছিল মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ের মর্ধ্যেই ছিল। পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে উৎপাদন ক্ষমতা প্রশাসনিক অনুমতি না নিয়েই গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মেশিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এজন্য এলাকাবাসীর দুর্ভোগের পরিমাণ মাত্রাতিরোক্ত ভাবে বাড়তে থাকে। নিজের সন্তানকে পড়াশোনার জন্য শব্দ বিহীন পরিবেশ , জলাধার এর পানি রক্ষা,কৃষি জমি রক্ষা, শব্দ দূষণসহ নানারকম প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা পেতে উক্ত ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর, পৌর মেয়র, এবং সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি এবং জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরিপেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের ইউএনও পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করেন।
এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠান এর মালিক আব্দুর রাজ্জাক রকিকে তাৎক্ষনিক ভাবে পরিবেশ অধিদপ্তর এর অনুমোদন সার্টিফিকেট না পাওয়া প্রযন্ত জনস্বার্থে দিনে ২:৩০ ঘন্টা প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
উক্ত নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠানটির মালিক প্রভাব খাটিয়ে ১৮-২০ ঘন্টা চালু রাখছেন। এতে উক্ত ঘনবসতি পূর্ণ এলাকার পরিবেশ ক্রমাগত বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী এই সমস্যা থেকে কোনরকম প্রতিকার না পেয়ে বার্ধ্য হয়ে গত ৬ এপ্রিল ২৩ এ উপজেলা চত্বরে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের নিয়ে "আমরা বাঁচতে চাই -ঘুমাতে চাই- পড়তে চাই"- লেখা সম্বলিত ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন শেষে স্বারক লিপি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান সাথে দেখা করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে প্রতিষ্ঠান এর মালিকসহ ৫ জন প্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর পক্ষে ৫ জন প্রতিনিধি নিয়ে বৈঠক করে সর্বসম্মতিক্রমে সকাল ১১ টা হইতে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট প্রযন্ত দূষণমুক্তভাবে জনসাধারণের সমস্যা না করে চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রাজ্জাক রকি প্রশাসনের নির্দেশনার প্রতিফলন না করে প্রভাব খাটিয়ে জোর করে ২০-২২ ঘন্টা কারখানা চালু রাখছেন।
এমতাবস্থায় এলাকাবাসী দ্রুত বিভিন্ন প্রশাসন, সামাজিক, সাংবাদিক ও পরিবেশ সম্পৃক্ত বিভিন্ন মহলের কাছে এই কারখানার অত্যাচারে থেকে পরিত্রাণ পেতে এলাকাবাসি আকুতি জানিয়ে আবেদন করে বেরাছেন, এবিষয়ে কারখানার মালিক রকির সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি, নীলফামারী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা অমল কুমার বর্মন বলেন এলাকাবাসির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি আমরা জেলা অফিস থেকে অভিযোগ টি ঢাকা হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে, হেড অফিস যে নির্দেশ দিবে আমি সেই অনুযায়ী ব্যবস্হা গ্রহণ করব,