ঢাকা জেলার ১,২,৩,৪ ও ৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল সর্বমোট ৪৬টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৩২ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১৪ জনের মনোনয়ন।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে মনোনয়ন বৈধ ও বাতিলের এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, ঢাকা-১ আসনে নয়জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং একটি মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান, তৃণমূল বিএনপির মফিদ খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম, জাকের পার্টির মো. লুৎফর রহমান খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির সামসুজ্জামান চৌধুরী, গণফ্রন্টের শেখ মো. আলী, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির করম আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আ. হাকিম ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আব্দুর রহিমের। সালমান এফ রহমানের দুটি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল, এর মধ্যে একটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা-২ আসনে পাঁচটি মনোনয়নপত্রের মধ্যে তিনজনের বৈধ ও দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বৈধ হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাকিল আহমেদ শাকিল, ইসলামী ঐক্যজোটের আশরাফ আলী জিহাদীর। মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. হাবিবুর রহমান এবং জাকের পার্টির আবুল কালাম আজাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা-৩ আসনে নয়টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে ছয়জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির আব্দুস সালাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রমজান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাফর, জাকের পার্টির আব্দুর রাজ্জাক ও জাতীয় পার্টির কুদ্দুস মো. মনির সরকারের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় পার্টির স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফারুক, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আব্দুল কুদ্দুস মিয়া ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলী রেজার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকা-১৯ আসনে ১৩টি মনোনয়নের মধ্যে আটটি বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে পাঁচজনের মনোনয়ন। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ডা. এনামুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং মুরাদ, গণফ্রন্টের নুরুল আমীন, তৃণমূল বিএনপির মাহবুবুল হাসান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিলন কুমার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাকের পার্টির শামসুদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইসরাফিল হোসেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মো. জুলহাস, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির আইরিন পারভীন, জাতীয় পার্টির বাহাদুর ইসলাম, জাতীয় পার্টির আবুল কালাম আজাদ ও বিএনএমের সাইফুল ইসলামের।
ঢাকা-২০ আসনে নয়টি মনোনয়নের মধ্যে ছয়টি বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে তিনজনের মনোনয়ন। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের বেনজির আহমদ, জাকের পার্টির মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় পার্টির খান মোহাম্মদ ইসরাফিল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির রেবেকা সুলতানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ধামরাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন এবং সাবেক সাংসদ এম এ মালেক।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আরজু মিয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মিনহাজ উদ্দিন ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আমিনুর রহমানের।
ঢাকায় মোট ২০টি আসনের ১৫টি ঢাকা মহানগরে, পাঁচটি ঢাকা জেলায়। এ কারণে ঢাকার ২০টি আসনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে দুই রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। একটি পুরান ঢাকার জনসন রোডে অবস্থিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে, অন্যটি সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। এর মধ্যে সেগুনবাগিচার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।