বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২৫ জুন ২০২৫
খুলনায় রবি মৌসুমে ফসল আবাদ
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২:২২ PM
খুলনার দিগন্তজোড়া মাঠে সবুজের সমরোহ। হাসছে ফসলের মাঠ। মাঠে রয়েছে হরেক রমমের পুষ্টিকর  সবজি। ভোর হতেই শীতের কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে কিষান-কিষানী মাঠে। ফসলের খেত পরিচর্চা করছেন।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে শীতকালিন সবজি আবাদ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে খুলনা কৃষি অঞ্চলে  ১লাখ ১২হাজার ৯৪৪হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে রবি মৌসুমের ফসলের। এই জমি থেকে ৮লাখ ৭৯হাজার ৭২৩মেট্রিকটন ফসল উৎপাদন করা হয়েছে। উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। প্রতিদিন আবাদ বাড়ছে।গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প  এর জিকেবিএসপি প্রকল্প ৫জেলায় শতাধিক হেক্টর জমিতে আগামজাতের সবজির আবাদ করেছে। এজন্য চাষিদের বিনামূল্যে বীজ, সার, প্রশিক্ষণ ও কাটনাশকসহ সকল প্রকার উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে। 

সূত্র জানিয়েছেন, খুলনা কৃষি অঞ্চলে রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা। এই ৪জেলায় গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪১০একর, উৎপাদন ১০৭২৯মেটিকেটন। ভুট্টা ১২৭০হেক্টর,১১৩০২মোট্রকটন। গোল আলু ৩৩৫০ হেক্টর,৬৯১৩৬মোট্রকটন। মিষ্টি আলু ৩৮১হেক্টর।৬৮৫০মেট্রিকটন। সবজি আবাদ করা হয়েছে ২৯৪৯০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৬৫৯৫৯৪মেট্রিকটন। সরিষা ৩৯১৭০হেক্টর, উৎপাদন ৫০৫৯০ মেট্রিকটন। চীনা বাদাম ৫৬৫হেক্টর। উৎপাদন ১১২৫ মেট্রিকটন।  সূর্যমুখী ৩২৬৫হেক্টর। উৎপাদন ৭৪৫১মেট্রিকটন। তিসি ৩৩হেক্টর। উৎপাদন ৩৮ মেট্রিকটন। পিয়াজ ১৯০৫হেক্টর। উৎপাদন ১৯৭৩৬মেট্রিকটন। রসুন ৯০৫ হেক্টর। উৎপাদন ৭০২৬মেট্রিকটন। শীতকালিন মরিচ ১২৭৩হেক্টর। উৎপাদন ২৯৬০মেট্রিকটন। ধনিয়া ১০৮৫ হেক্টর। উৎপাদন ১৩৯১মেট্রিকটন। কালোজিরা ৫৮ হেক্টর। উৎপাদন ৫৮ মেট্রিকটন । মসুর ডাল ৮০৬০হেক্টর। উৎপাদন ৯৯৩৬মেট্রিকটন। খেসারী ডাল ১৮৩৬৮হেক্টর। উৎপাদন ২১২৮২মেট্রিকটন। শীতকালিন মুগ ডাল ৩৫ হেক্টর। উৎপাদন ৩৯মেট্রিকটন। মুগডাল শুধুমাত্র নড়াইল জেলায় ৩৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৩৯ মেট্রিকটন। মাসকলাই ১৪৫হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ১৯৫মেট্রিকটন এবং মটর ২২৬হেক্টর আবাদ করা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ২৭৪মেট্রিকটন। পর পর কয়েকটি ঝড়ে শীতকালিন সবজি ও রবি মৌসুমের শস্য আবাদে বিঘ্ন ঘটে। 

সূত্র জানান, নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত রবি মৌসুম। শীত কালে চারা রোপণ ও বীজ বপণ করলেও গ্রীষ্মকালে ফসল ঘরে তোলা হয়। এ কারণে চৈতালী ফসলও বলা হয়। সব চেয়ে রবি মৌসুমে বেশী সবজি ও শস্যের আবাদ করা হয়। এই মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা কম থাকে। আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে এই ফসল চাষাবাদ কৃষকদের বর্ষাকালের সঞ্চিত পানির নির্ভর করতে হয়।

গোপালগঞ্জ-খুলনা- বাগেরহাট -সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (জিকেবিএসপি প্রকল্প) কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, আবাদ করতে ও উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বীজ, সার ও কীটনাশকসহ সকল প্রকার উপকরণ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। কৃষি সম্প্রষারণ অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহন কুমার ঘোষ বলেন, সরকার কৃষকদের প্রণোদনা দিয়েছেন। নিজেরা  উদ্যেগী হয়ে পতিত জমিতে আবাদ করার জন্য এগিয়ে আসছেন। উৎপাদন  ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকের পূরণ হবে। মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত