বুধবার ২৫ জুন ২০২৫ ১১ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২৫ জুন ২০২৫
শ্রীপুরে কৃষককে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ২:২৬ PM
গাজীপুরের শ্রীপুরে মামলার ভয় দেখিয়ে এক কৃষকের কাছ থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুর জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক সোমবার (০৪ ডিসেম্বর) বিচার চেয়ে মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার (ইউটার্নে) এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলো পুলিশ সদস্যরা হলো গাজীপুর জেলা পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী (৪২) এবং আতাউর রহমান (৪৫)।

ভুক্তভোগী কৃষক গিয়াস উদ্দিন সরকার (৪৫) শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের গোদারচালা গ্রামের মৃত মালেক সরকারের ছেলে।

 মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবার লিখিত অভিযোগে  কৃষক গিয়াস উদ্দিন সরকার  জানান, শুক্রবার (০৪ ডিসেম্বর) সকালে তিনি উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বলদীঘাট এলাকা থেকে লাকড়ি কিনে পিকআপ ভাড়া করে নিজ বাড়ীতে (গোদারচালা) আসছিলেন। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার (ইউটার্নে) পৌছলে ওই স্থানে দায়িত্বরত গাজীপুর জেলা পুলিশের সার্জেন্ট মেহেদী এবং আতাউর রহমান সিগনাল দিয়ে তার পিকআপের গতিরোধ করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা পিকআপের কাগজপত্র যাচাই করে সঠিক পাওয়া গেলে অভিযুক্ত সার্জেন্ট মেহেদী ও তার সহযোগী কৃষকের কাছে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে লাকড়ি নিতে দিবে না বলে জানায়। কেন তাদেরকে (পুলিশ সদস্য) চাঁদা দিতে হবে জিজ্ঞাসা করলে তারা কৃষক গিয়াস উদ্দিন সরকারকে বলে মহাসড়ক দিয়ে লাকড়ি নিলে গেলে আমাদেরকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। তাদেরকে টাকা দিতে রাজি না হলে তারা কৃষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। পরে ওই কৃষক তাদেরকে (পুলিশ সদস্যকে) দুই হাজার টাকা চাঁদা দিলে তারা লাকড়ি বহনকারী পিকআপ ছেড়ে দেয়।

তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে আমি জানিতে পারি অভিযুক্ত গাজীপুর জেলা পুলিশের ওই দুই সদস্য প্রায় সময় মহাসড়কের ওই স্থানে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজী করে সাধারণ মানুষকে হয়রানী করে আসছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তিনি মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত সার্জেন্ট মেহেদী জানান, আমরা তো অনেকে এক সাথে ডিউটি করি। তবে কার কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছি এখন বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মনে হচ্ছে না। গতদিন এক সাংবাদিক এ বিষয়টা আমার কাছে বলেছিলো, তখন আমি বলেছিলাম আসেন আমরা বসি। কথা বলে বিষয়টা মীমাংসা করি। কোন কারণ ছাড়া তো চাঁদা দাবি, এটা কিভাবে সম্ভব।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি, হয়তবা আসবে। আসলে তদন্ত করে প্রমাণীত হলে ব্যবস্থা নিব।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত