১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনের অনেক ইতিহাস নতুন প্রজনের নিকট অজানাই রয়েগেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রনাঙ্গনে অসংখ্য স্মৃতি আছে যা সকলের জানা দরকার। সেই অজানা বীরত্বগাঁথা লিপিবদ্ধ করে নতুন প্রজন্মকে জানার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট দাবী জানিয়েছেন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এসএম ওয়ালিউল ইসলাম তার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কিছু মানুষের কটাক্ষের কারনে তিনি সরকারের নিকট এ দাবী জানিয়েছেন। এসএম ওয়ালিউল ইসলাম মঠবাড়িয়া পৌর শহর নিবাসী স্কুল শিক্ষক মৃত মৌলভি আ. মজিদ মুন্সির ছেলে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান আর্মিতে যোগদান করে ১৯৬৭ সালের জুন মাসে তিনি করাচী গমন করেন। সেখানে বসে তিনি মিলিটারী পুলিশে চাকরী নেন। ১৯৭০ সালের শেষ দিকে পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিনাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তখন তিনি ৪ মাসের ছুটি নিয়ে তিনি দেশে আসেন। ছুটি শেষে চাকুরিতে যোগদানের জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভোরে তুষখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। ভোর রাতে যখন লঞ্চ ঢাকা পৌছে তখন সদর ঘাটে পাক বাহিনীর নির্বিচার গুলি চলছিল। এ অবস্থায় ওয়ালিউল ঐ লঞ্চেইে বাড়ি ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন।
মঠবাড়িয়া নির্মণাধীন পোষ্ট আফিসে বীর মুক্তিযোদ্ধা সওগাতুল আলম সগীরের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়। ওয়ালিউল ইসলাম ক্যাম্পে আগতদের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে সামরিক ট্রেনিং দেন। পরে তিনি নারায়নগঞ্জ মুক্তারকান্দি স্কুল ক্যাম্পে যোগদান করে মুক্তিযোদ্ধাদের সামরিক ট্রেনিং দেন। এই ক্যাম্প পরিচালনা করতেন তৎকালীন ঢাকা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মাহফুজুর রহমান। ওয়ালিউল ইসলাম এখানে পাক বাহিনী ও রজরকারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ গ্রহন করেন।
এসএম ওয়ালিউল ইসলাম আক্ষেপের সাথে জানান, অনেক সুযোগ সন্ধানীরা এখনও আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রনাঙ্গনে অংশ নেয়া নিয়ে কটাক্ষ করে। তখন খুব কষ্ট লাগে। তাই তিনি সকল মুক্তিযোদ্ধার অবদান সরকারীভাবে লিপিবদ্ধ করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দাবী জানিয়েছেন।