আগামী ৭ জানুয়ারি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া-৩ আসন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জমাদ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা: রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, মঠবাড়িয়াবাসীর সেবায় আমি আমার জীবনের ৫৬টি বছর পার করে একবার উপজেলা চেয়ারম্যান, চার বার এমপি’র দায়িত্ব গ্রহণ করে সততার সাথে কাজ করে এক সময়ের পিছিয়ে থাকা মঠবাড়িয়াকে তিলোত্তমা নগরীতে রূপ দিয়েছি। বর্ষাকালে গ্রাম গঞ্জের মানুষগুলো এখন আর শহরে আসতে দূর্ভোগ পোহাতে হয় না।
যেদিকে তাকাবেন পিজঢালা রাস্তা ও বিদঘুটে অন্ধকার তাড়ানো আলোর ঝলকানিতে রাতের পরিবেশ যেন শহরের এক প্রতিচ্ছবি। তারপরও কিছু কাজ বাকী আছে, আল্লাহ্ বিজয় দিলে তার বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ্। দুই মেয়াদেই ৪ হাজার কোটি টাকার এলাকার উন্নয়ন করেছি। যে কাজের বর্তমানে কিছুটা চলমানও রয়েছে। যা অন্য এলাকার বেলায় আকাশ কুসুম কল্পনার সামিল। আমার দ্বারা এটা সম্ভব এজন্য যে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত শ্নেহ করেন বিধায় কাজ করতে কোন বেগ পেতে হয় না। জাতীয় নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ, এম.এ. জব্বার ইঞ্জিনিয়ার, ডা: আনোয়ার হোসেন (সাবেক এম.পি) বিগত দিনে এদের সাথেও আমার গঠনমূলক রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল। একে অপরের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ এখনও মানুষের মুখে মুখে।
অথচ আজ একটি পরিবার ত্রাস সৃষ্টি করে গোটা মঠবাড়িয়ায় যেন তাদের মত করে ৫ লাখ মানুষকে দাস বানিয়ে ফায়দা লুটতে উচ্ছাকাঙ্খার রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। নিরীহ ভোটারদের মাঝে ত্রাস সৃষ্টি করতে উদ্দেশ্যে বিহীন আমার কর্মীদের ওপর হামলা শুরু করেছে। মঠবাড়িয়ার মানুষ বোকা নয়। অবদানহীন যদু মধু কে তারা ভোট দেবে না। ৭ জানুয়ারি নিরাপদ মঠবাড়িয়ায় পুনরায় শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে সর্বস্তরের জনগণ আমার প্রতীক ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের প্রয়োজনে তার বাস্তবায়ন ঘটাবেন ইনশাআল্লাহ্।
এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্রশাসক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক পৌর প্রশাসক আরিফ-উল-হক, উপজেলা যুব লীগের সাবেক সভাপতি সাকিল আহমেদ নওরোজ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত প্রায় ২ হাজারের অধিক জনগণ ঈগল প্রতীকে ডা: রুস্তম আলী ফরাজীকে ভোট প্রদানে দু’হাত তুলে দৃঢ় অঙ্গীকারে হ্যাঁ সূচক বাণী উদাত্ত কণ্ঠে সমন্বরে উচ্চারণ করেন।