নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (অষ্টম ও নবম শ্রেণি) বিষয়ক ৭ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন ল্যাব সহকারী ও একজন অফিস সহকারী অংশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশিক্ষণের অংশগ্রহণের নির্দেশনা অনুসারে প্রশিক্ষনার্থীকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন বা খন্ডকালীন (এক বছরের বেশি একই প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমের সাথে যুক্ত) শ্রেণি শিক্ষক হতে হবে।
প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো তালিকা ও বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠানো তালিকায় ল্যাব সহকারী মো. মিজানুর রহমানকে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক, ল্যাব সহকারী মো. আরিফুল ইসলামকে জীবন ও জীবিকা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক, ল্যাব সহকারী মনির হোসেন ও অফিস সহকারী মো. উজ্জ্বল হোসেনকে শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক দেখানো হয়েছে।
ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মিজানুর রহমান ও আরিফুল কম্পিউটার ল্যাবে, মনির ইলেট্রিক্যাল ল্যাবে ও উজ্জল অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা কিছু ক্লাসও নেন। প্রশিক্ষণের জন্য আমি ২১ দিনের একটি প্রশিক্ষণে থাকায় সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে পাঠাতে বলেছিলাম। তিনি তালিকাটি পাঠিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে এসে আমি তাদের প্রত্যয়ণ পত্রে স্বাক্ষর করি।
ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মজিদ বলেন, নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা ছিলো প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে হবে। ইতিমধ্যে ওয়াদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দুইজনকে প্রশিক্ষণ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর এসএসসির নির্বাচনী পরীক্ষায় গাইড বই ফটোকপি করে প্রশ্নপত্র তৈরির অভিযোগ উঠেছিল এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমসহ আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
প্রশ্নপত্রটিতে দেখা যায়, পূর্ণমান ৩০ নম্বরের রসায়ন বিজ্ঞান-২ (সৃজনশীল) ১৯২৬ নম্বর কোডের ক-বিভাগের প্রশ্নপত্রটিতে ১২টি প্রশ্ন রয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের নিচে উত্তরের পৃষ্ঠা নম্বর ও কোন অধ্যায় থেকে প্রশ্নটি করা হয়েছে তার উল্লেখ রয়েছে।
”সিসটেক টেকনিক্যাল পাবলিকেশন্স” নামে গাইড বইয়ের ২২০ পৃষ্ঠায় দেখা মেলে একই প্রশ্নপত্রের।