আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এ নির্বাচনে স্থানীয় সাধারণ মানুষের প্রায় পঁচাত্তর থেকে আশি শতাংশ মানুষ তাকে ভোট দিবে বলে স্থানীয় জনগণ মনে করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিএনপি নির্বাচনের মাঠে না থাকায় বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছেন শেরে বাংলার নাতি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু। অন্যদিকে জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বহিরাগত হওয়ায় স্থানীয় সাধারণ মানুষসহ তৃণমূলের মানুষ তাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। কাজেই এবারের ভোটে এ আসনের জনগণ এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুকে বেছে নেবে এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
আরো জানা যায়, উপমহাদেশের রাজনীতির কিংবদন্তি ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের অবিসংবাদিত নেতা শেরে বাংলার পুণ্যভূমি বানারীপাড়ার চাখারে। স্থানীয়রা শেরে বাংলার পুণ্যভূমিতে তাঁর নাতি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুকে পাওয়ায় তারা আপ্লুত ও উজ্জীবিত।
এখানকার প্রবীণরা আরো জানান, এ সংসদীয় আসনে শেরে বাংলা একটি আবেগের নাম। দ্বাদশ নির্বাচনে কোনোক্রমেই এখানকার মানুষ এ আবেগ বিসর্জন দিবেন না। কেউ এ আবেগের বিপরীতে চললে তাও বরদাস্ত করবে না স্থানীয়রা।
স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা জানান, তারুণ্যের সব শক্তিই শেরে বাংলার নাতি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর পাশে রয়েছে। আশি বছরের কোনো প্রার্থী আমাদের আবেগকে ধারণ করতে পারবে না; আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য এ কে ফাইয়াজুল হক রাজুর মতো ক্লিন ইমেজের নেতার বিকল্প নেই। তাই দল-মত নির্বিশেষে সবাই তার ঈগল প্রতীকে ভোট দিবেÑ এমটাই তাদের প্রত্যাশা।
শেরে বাংলার উত্তরসূরি এ কে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ কাছে শেরে বাংলা আবেগের। জনগণের এ আবেগের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আমার পিতা মরহুম এ কে ফায়জুল হক এ আসনে সংসদ সদস্য হয়ে মন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে এ আসনের মানুষের জন্য নির্মোহভাবে কাজ করে গেছেন।
তিনি আরো জানান, আমি বাঙালির প্রাণের স্পন্দন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নাতি। দীর্ঘদিন ধরে বানারীপাড়া-উজিরপুরের সাধারণ মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে প্রায় ৩৮ বছর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সেই রক্তের উত্তরসূরি যিনি বাঙালি জাতিকে সর্বপ্রথম মুক্তি দিয়েছেন। জমিদারের শোষণ থেকে মুক্ত করে লাঙল যার জমি তার- এমন মূলমন্ত্র দ্বারা উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষকে জমির অধিকার ফিরিয়ে দেন। সাধারণ মানুষ এই মাটির উপর দাঁড়িয়ে বলতে পারেন এ মাটি আমার। মানুষ এ মুক্তির অনুভূতি নিতে পারেন মহান নেতা শেরে বাংলার কালজয়ী নেতৃত্বের জন্য। এই মাটির সঙ্গে আমার আবেগ ও দায়বদ্ধতা অন্যান্য যেকোনো রাজনীতিবিদের চেয়ে অনেক বেশি। আপনাদের ভালোবাসা ও এ মাটির ঘ্রাণ আমাকে মোহিত করে। তাই আমি দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে বানারীপাড়া-উজিরপুরের প্রতিটি জনপদে আমি হেঁটেছি, ঘাম ঝরিয়েছি, আপনাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নিয়েছি।
বানারীপাড়া-উজিরপুরের তরুণদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনাদের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলার আবেগ অনেক বেশি কাজ করে। আপনারা এ পুণ্যভূমির সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করেন। আমি নিজেও তারুণ্যের নেতৃত্বকে বুকে ধারণ করে পথ চলি। আপনারাই আমার প্রাণশক্তি, আপনারাই আমার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য। কাজেই আপনারা আমার পাশে থেকে আমার মহতী লক্ষ্য বাস্তবায়নে মুখ্য অংশীদার হবেন। শেরে বাংলার এ পললভূমিতে আপনাদের ভালোবাসায় আবারও দক্ষ নেতৃত্বের ভিত তৈরি হবেÑ এটাই আমার প্রত্যাশা।