রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ ১ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ১৫ জুন ২০২৫
সৈয়দপুরে ঘন কুয়াশায় বিমান চলাচল ব্যাহত
নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪, ১:৫৫ PM
নীলফামারীর ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয়। ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট ওঠানামা করেনি। ফলে বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির দুটি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়ে। তবে আবহাওয়া ভালো হলে বিমান চলাচল শুরু হয়।

বিমানবন্দর আবহাওয়া কার্যালয়ে তথ্য মতে, সকাল ৯টায় এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সকাল ৬টায় ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ কমে যাওয়ায় নীলফামারীর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত এ অঞ্চলে দৃষ্টিসীমা ৫০ মিটারের কম ছিল।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হাকিম বলেন, মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে বিমানবন্দর এলাকা। সকাল ১০টায় রানওয়ে এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ১০০ মিটার। দুপুর ১২টায় তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০ মিটার।  তিনি বলেন, বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামার জন্য দৃষ্টিসীমা ২ হাজার মিটার থাকতে হবে। তবে ২ / ১ ঘণ্টার মধ্যে ঘন কুয়াশা কেটে যাবে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে ফ্লাইট উঠানামা ব্যাহত হয়েছে। ফলে সূচি অনুযায়ী সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ইউএস-বাংলা, সকাল ১১টায় নভোএয়ার এবং দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ বিমানসহ মোট তিনটি ফ্লাইট ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি।  তিনি আরও বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া ঘন কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে তীব্র শীত থেকে রক্ষা পেতে শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছে। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষেরা শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।  সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, তীব্র শীতের প্রকোপে আজ সকাল থেকে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়েছে। বিশেষ করে বহির্বিভাগে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে।

নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, শীত মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা প্রস্তুত রয়েছে। শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ৬ উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার পিস কম্বল পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনো প্রায় ৫ হাজার মজুদ আছে। প্রয়োজনে আরও চাহিদা দেওয়া হবে।


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত