প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য রোববার (৯ জুন) তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা জেলার ৬০ জন সিনিয়র সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, ২০০৯ সনে তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার তথ্য প্রাপ্তিকে জনগণের সুযোগ নয় অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন। জনগণের প্রত্যাশা পুরণকল্পে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অত্যাবশ্যক। প্রকাশযোগ্য তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত হালনাগাদ করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা থাকায় কোন কর্তৃপক্ষই ভবিষ্যতে ছাড় পাবেন না। এছাড়া নোটিস বোর্ড, বিল বোর্ড ও বার্ষিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে স্ব-প্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ এ উত্তরণের এই সন্ধিক্ষণে তথ্যকে অবারিত করা ছাড়া বিকল্প নেই।
তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম তথ্য প্রাপ্তির আপীল ও অভিযোগ দায়ের, তথ্য না দিলে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানসহ, কোন কোন তথ্য প্রকাশ বা প্রদান বাধ্যতামূলক নয় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণে অবহিত করেন।
তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি তথ্য সংরক্ষণ, নথি বিনষ্টকরণ, তথ্য ব্যবস্থাপনা, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশের মাধ্যম প্রভৃতি বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
ঢাকা জার্নালের এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এবং এমআরডিআই’র নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান মুকুর এতে বিশেষ রিসোর্স পার্সন হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তথ্য কমিশন সচিব জুবাইদা নাসরীন উপস্থিত ছিলেন।