আগ্রার এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি কঙ্কাল। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর তা থেকে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে থাকে।
সবসময় ব্যস্ত থাকত স্ত্রীর ফোন। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহ দানা বাঁধে স্বামীর মনে। ইতিমধ্যেই সন্দেহ সত্যি হয়। আর স্বামী জানতে পারেন স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত প্রেমের সম্পর্কের কথা। এরপর স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। স্বামীর কথা মতো স্ত্রী ডেকে পাঠান নিজের প্রেমিককে। আলাপও করান। কিন্তু এরপর যা হল, তার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই! আর এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরপ্রদেশের আগ্রা!
আসলে আগ্রার এক জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি নরকঙ্কাল। তারপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। আর তা থেকে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে থাকে। তদন্ত চলাকালীন তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ছিল এক স্বামী-স্ত্রী এবং এক তরুণ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এটাহর বাসিন্দা দিলীপ নামে এক ব্যক্তিকে রীতিমতো ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে। দিলীপের দেহ টুকরো টুকরো করে তা জঙ্গলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আগ্রার তাজগঞ্জ এলাকার গোবিন্দা নামে এক ব্যক্তি এটাহর এক মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন। অথচ সেই মেয়েটির সঙ্গে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল পড়শি দিলীপের। মেয়েটির পরিবার এই কথা জানতে পেরে সম্পর্কটি মানেনি। বরং তারা আগ্রার গোবিন্দর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেয়। তবে বিয়ের পরেও সেই প্রেমের সম্পর্ক ভাঙেনি। ফলে দুজনের মধ্যে হামেশাই কথা হত।
স্ত্রীর এই সম্পর্কের কথা জানতে পেরেই প্রতিবাদ করেন গোবিন্দা। এদিকে দিলীপও ফোন করে ক্রমাগত হুমকি দিতে শুরু করে গোবিন্দাকে। এরপরেই দিলীপকে খুনের ছক কষে সে। এতে অবশ্য তার পাশে ছিল স্ত্রী তথা দিলীপের প্রেমিকা। এরপর আগ্রায় দিলীপকে ডেকে পাঠায় ওই মহিলা। দিলীপ সেখানে পৌঁছতেই তাকে আকবরপুরের কাছে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় গোবিন্দা, তার স্ত্রী এবং দুই বন্ধু। এরপর নৃশংস ভাবে দিলীপকে হত্যা করে তারা।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে যে, প্রথমে তারা দিলীপের মাথা কেটে দিয়েছিল। আর কাটা মাথাটি নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর দিলীপের দেহের অংশও কেটে নেওয়া হয়েছিল। নরকঙ্কাল ছাড়াও দেহের অবশিষ্টাংশও উদ্ধার করা হয়েছে। যা ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। ওই অভিযুক্তদের এটাহ পুলিশের হাত তুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।