যশোরের কেশবপুরে উস্কানি দাতা সাংবাদিকসহ শ্যামল সরকারকে মানবতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত সাংবাদিকদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেশবপুর শহরের গাজীর মোড় চত্বরে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় কেশবপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও জনতার ব্যানারে বক্তারা বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে কেশবপুরের কুলাঙ্গার, ধর্ম ব্যবসায়ী, নিয়োগ বাণিজ্যের হোতা, ভারতের দালাল, এজেন্ট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আসামি সাংবাদিক শ্যামল সরকারসহ ৩২ জন প্রতিনিয়ত পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকারকে মদদ দিয়ে এবং টকশোতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে রক্ত ঝরানোর মতো মানবতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে জড়িত সাংবাদিক শ্যামল সরকারসহ সকল সাংবাদিকের গ্রেফতারের দাবিতে এই মানববন্ধন। গণহত্যা কাণ্ডে উস্কানির দায়ে ৩২ জন সাংবাদিককেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আইসিটি’র তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে আন্দোলনে নিহত নাসিফ হাসান রিয়াদের বাবা মো. গোলাম রাজ্জাকের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অভিযোগটি দায়ের করেন আইনজীবী গাজী এইচ তামিম।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৩ আগস্ট যেসব সাংবাদিক দেখা করে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার উস্কানি দিয়েছেন তাদেরকে এই মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী। দালাল সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও কথিত সুশীল ব্যক্তিবর্গের নামে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ও ৪(১)/৪(২) ধারা অনুযায়ী, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে প্ররোচনা ও উসকানি, পরিকল্পনা ও নির্দেশে অন্যান্য আসামি কর্তৃক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে সাধারণ নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা, নির্যাতন, আটক, গুম করার মাধ্যমে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, দোষীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত কেশবপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র ও জনতা এ আন্দোলন অব্যাহত রাখবে।