শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫ ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
শুক্রবার ১৬ মে ২০২৫
‘দেশের যেকোনো উপদেষ্টাকে নামাতে শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টা যথেষ্ট’
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:৫৪ PM আপডেট: ২৯.১০.২০২৪ ৮:০১ PM
গত তিন মাসে সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদী থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকার বালু ও পাথর লুট হয়েছে। সেই বালু পাথর লুট বন্ধে পুলিশ ভিন্ন কায়দায় নদীর প্রবেশমুখে ব্যারিকেড দিয়েছে। কীভাবে এই নদী রক্ষা করা যায় সেটি নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সুনামগঞ্জ জেলা ও পুলিশ প্রশাসন নদী লুটের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ তুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সভায় তারা পুলিশ সুপারের (এসপি) পদত্যাগ দাবি করেন। এতে সভায় হট্টগোল বেধে যায়। সেখানে এক সমন্বয়ক দাবি করেন, দেশের যেকোনও উপদেষ্টাকে নামাতে শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৪ ঘণ্টা যথেষ্ট। তবে পুলিশ সুপারের দাবি, নদী লুটের সঙ্গে যেসব পুলিশ সদস্য জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিক। সভায় হঠাৎ সুনামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের বক্তব্যের সময় বাধে বিপত্তি। 

সেখানে শিক্ষার্থীরা সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলার পুলিশ প্রশাসনের যোগসাজশে চলতি নদী লুট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। পরে সভা হলে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেনের পদত্যাগের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভা হল। সভায় উপস্থিত থাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক মাইকে ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আবু নাসিম বলেন, যে অন্যায় করবে, শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে কথা বলবে। দেশের যেকোনও উপদেষ্টাকে নামাতে শিক্ষার্থীদের মাত্র ২৪ ঘণ্টা যথেষ্ট।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এই জেলায় নতুন যোগদান করেছি। নদী লুটের সঙ্গে যে পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিক বলেন, সুনামগঞ্জের নদী লুট বন্ধে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা নদী লুটের সঙ্গে জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইজারা দেওয়া বালুমহালগুলোতে বালি আছে কিনা তা আবারও খতিয়ে দেখা হবে। যারা বালু লুট করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত