দাজ্জালের আগমন কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলমত। বিষয়টি কোরআন-সুন্নাহ সমর্থিত। সে মিথ্যে জান্নাত-জাহান্নামের চিত্র দেখিয়ে মুমিনদের বিভ্রান্ত করবে। তার ফেতনার কারণে ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করবে।
‘সে মানুষের কাছে গিয়ে বলবে, আমি যদি তোমার মৃত পিতা-মাতাকে জীবিত করে দেখাই, তাহলে কি তুমি আমাকে প্রভু হিসেবে মানবে? সে বলবে অবশ্যই মানব। এ সুযোগে শয়তান তার পিতা-মাতার আকৃতি ধরে বলবে, হে সন্তান! তুমি তার অনুসরণ করো। সে তোমার প্রতিপালক।’ (সহিহ জামে আস-সগির: ৭৭৫২)
দাজ্জালের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য দোয়ার শিক্ষা রয়েছে হাদিসে। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ (স.) নিম্নে বর্ণিত দোয়াটি পাঠ করতেন।
দোয়াটি হলো— اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَمِنْ عَذَابِ النَّارِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, ওয়া মিন আজাবিন্না-রি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়ামিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্দাজ্জা-ল।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি: ১৩৭৭)
তাছাড়া দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচতে পবিত্র কোরআনের সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থের কথাও হাদিসে এসেছে। হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শুরুর ১০ আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম: ৮০৯)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে বেঁচে থাকার জন্য উল্লেখিত দোয়াটি নিয়মিত পাঠ করার এবং সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
-বাবু/এ.এস