পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী নিজ এলাকায় খুব জনপ্রিয় ছিলেন। পরীকে ছোটবেলা থেকে নিজ হাতে বড় করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর একমাত্র অভিভাবক ছিলেনই তার নানা।
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় গিয়ে নানার জনপ্রিয়তা কথা লিখে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। এবার পরীমণি তার ফেসবুকে লিখেছেন আবেগঘন কিছু স্মৃতি।
পরীমণি বলেন, ‘এর আগে যত বার নানু বাড়ি গিয়েছি, নিদিষ্ট তারিখেই ঢাকায় ব্যাক করেছি। বাড়ির সবাই দুই একদিন বেশি থেকে যেতে বলতো, থাকা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।’
ছেলেকে নিয়ে পরী বলেন, ‘আমার পদ্মফুল কেবল নানুকে চিনতে শুরু করেছিলো। বড়আব্বু বলে ডাকতে শিখেছিলো। এখন যদি কেউ ওকে বলে ‘তোমার বড় আব্বু কই? ওমনি এই যে বলে সাথে সাথে আঙ্গুল তুলে নানুর কবরটা দেখিয়ে দেয়! কবরের ওপরে চুমু খায়, হাত বুলায়, ফু দেয়। আসার সময় হাত নেড়ে নেড়ে কত বার যে বললো ‘আব্বুটা বাই আব্বুটা বাই’।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২ টা ১১ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পরীমণির নানা শামসুল হক গাজী। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর নানার অকৃত্রিম ভালোবাসাতেই বড় হয়ে ওঠেন ছোট্ট পরী। তিনিই ছিলেন পরীমণির একমাত্র অভিভাবক।