বান্দরবানের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ও আরেকজন বাংলাদেশি নারী।
গত শনিবার ও গতকাল রোববার ব্যাপক গোলাগুলির পর আজ থেকে উখিয়ার পালংখালী এবং টেকনাফে হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় উলুবনিয়া সীমান্ত থেকে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে আটক করেছে বিজিবি।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, স্থল পথে গোলাগুলির সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে গুলি। ধারণা করা হচ্ছে, বিদ্রোহীদের দখল করে নেওয়া অঞ্চল উদ্ধার করতে হামলা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। সীমান্ত জুড়ে তীব্র গোলাগুলিতে আতংকে ঘর-বাড়ি ছেড়েছে স্থানীয়রা।
বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমার থেকে উলুবনিয়া সীমান্ত পার হয়ে একটি রোহিঙ্গা পরিবার বাংলাদেশে ঢুকে পড়লে দায়িত্বরত বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক রাখেন। স্বামী স্ত্রী ছাড়াও তাদের সঙ্গে ৩ শিশুও রয়েছে।
হোয়াইক্যং উলুবনিয়া এলাকার জালাল আহমেদ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিয়ানমারের ওপারে ব্যাপক গোলাগুলি এবং বোমার শব্দ আমরা শুনতে পাচ্ছি। ভয়ে সীমান্ত থেকে লোকজন সরে যাচ্ছে। অনেকে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
ঘুমধুম এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল ব্যাপক গোলাগুলিতে তিনটি গ্রামের লোকজন এলাকা ছাড়া হয়েছে। সকাল থেকে আবারও গোলাগুলি চলছে।
টেকনাফ ২ বিজির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, সীমান্তে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।
এদিকে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩৭ সদস্য। আজ বিজিবির সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এ নিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিজিবি নাসাকা সদস্যদের নিরস্ত্র করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে রোববার ৫৮ জন বিজিপি সদস্য সীমান্তে আশ্রয় নেয় বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা।