নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পপি আক্তার (১৪) ও রাজন মিয়া (১৭) নামে দুই সহোদর ভাইবোনের আত্মহত্যা ঘটনা ঘটেছে। এ আত্মহত্যার ঘটনা দুটি মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ও গত রোববার উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউপির কুতুবপুর গ্রামে ঘটে। নিহতরা উপজেলার রোয়াইলবাড়ী-আমতলা ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের কন্যা ও ছেলে।
নিহত পপি আক্তার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নিভিয়াঘাটা ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং রাজন মিয়া কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজের একাদশ শ্রেণি ছাত্র।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পপি আক্তার রোববার (৪ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যার দিকে কীটনাশক পান করে গুরুতর আহত হলে তাকে পাশ্ববর্তী নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত পৌণে ৮ টার দিকে মৃৃত্যু হয়। পপির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকালে দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়। শোকে মূহ্যমান অবস্থায় মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বোনের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে নানার বসতঘরে আড়াড় সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা যায় কলেজ পড়ুয়া রাজন মিয়া। পর পর ভাইবোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের বইছে। পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
উপজেলার স্থানীয় রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান ভাইবোনের আত্নহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুতুবপুর গ্রামের আবদুর রহিমের মেয়ে পপি আক্তার বিষ খেয়ে এবং ছেলে রাজন মিয়া ফাঁসিয়ে ঝুলিয়ে এক দিনের ব্যবধানে ভাইবোন আত্নহত্যা করেছে। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এনামুল হক পিপিএম জানান, দুই ভাইবোনের মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। পপির মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন কাজ সম্পন হয়েছে। তাছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে নিহতের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আর রাজনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।