বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছরেও শহীদ মিনার নেই ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:২৬ PM
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পরও শহীদ মিনার নেই ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যা খুবই দুঃখজনক। 

কেন্দুয়ায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।তার মধ্যে ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই কোন শহীদ মিনার।

এই সব বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা কলাগাছ বা নিকটবর্তী কোন প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারে গিয়ে   ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।

এলাকার সুশীল সমাজ মনে করছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ, দেশাত্মবোধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য চেতনা জাগ্রত করার প্রয়োজনে হলেও প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৭১ বছরেও  উপজেলার ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এখনো শহীদ মিনার নেই ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

শহীদ মিনার নেই এমন একটি বিদ্যালয় গন্ডা ইউনিয়নে শিবপুর হোসনে আরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, এই বিদ্যালয়ে নতুন বিল্ডিং হওয়ায় শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে । কলা গাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। এখন পর্যন্ত কোন শহীদ মিনার তৈরি হয় নাই। চাইলেই কিন্তু ছোট আকারে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহীদ মিনার তৈরি করা যায়। তবে সমস্যাটা হচ্ছে বরাদ্দ নেই। তবে গত বছর সরকার থেকে একটা নির্দেশনা এসেছে যে স্থানীয়ভাবে শহীদ মিনার নিমার্ণের কিন্তু তাও হচ্ছে না। 

গন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার জাহান আজাদী বলেন, আমার বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। একই ক্যম্পাসে অবস্থিত গন্ডা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আমরা শহীদদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আসছি।তিনি আরো বলেন, আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার বলা হলেও কোন কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলায় ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। এর মধ্যে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় হাই স্কুলের সাথে সংযুক্ত। বাকীগুলো তৈরির জন্য জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি এবং জেলা উপজেলার শিক্ষা কমিটির মিটিং গুলোতে আমি শহীদ মিনারের জন্য দাবি জানিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো.রাজিব হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কেন্দুয়াতে যে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তা আমাকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানানো হয় নাই। তবে ২২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার দ্রুত নির্মাণের জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত