রবিবার ৬ জুলাই ২০২৫ ২২ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ৬ জুলাই ২০২৫
শ্রীপুরে টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩০ PM
টাকার বিনিময়ে সরকারী চাকরী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেয়ায় প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত ৩ টায় গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ১নং সিএন্ডবি বাজারের প্রিয়াঙ্গন প্লাজার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো প্রতারক চক্রের মূলহোতা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভেচকী গ্রামের জসিম হোসেন কালামের ছেলে আল আমিন (৩০) এবং দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদার (উত্তরপাড়া) গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ফজলুল হক (৪৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩টি মুঠোফোন, যোগ্যতা সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ৩৩টি স্টিকার, ৫ জোড়া সোল্ডার ব্যাচ এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
 
প্রতারক চক্রের অপর সদস্যরা হলেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের হোমিদুর রহমান (৫১), বিরল উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৮), কাজীপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে শামসুল আলম।

র‌্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান জানান, দিনাজপুরের কতোয়ালি থানার রামনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শাহিন (৪৫) দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে “নায়েব নাজির” হিসেবে কর্মরত। গত ৬ ফেব্রæয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের ২য় তলায় বাদীর অফিস কক্ষে আসামী হামিদুর রহমান, আব্দুল জলিল ও পলাতক আসামী শামসুল আলম আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার শাখায় শামসুল আলমকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ কোর্টের 'অফিস সহায়ক' পদে একটি নিয়োগপত্র প্রদান করেন এবং শামসুল আলমকে নিয়োগপত্রমূলে যোগদান করার অনুরোধ করেন।

তাদের দেয়া ওই নিয়োগপত্র শাহিন দনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজের কাছে উপস্থাপন করলে তিনি নিয়োগপত্রটি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে যাচাইয়ের জন্য পাঠালে নিয়োগপত্রটি সঠিক নয় বলে জাজান। পরে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ তাদেরকে আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেন। শাহিন তার অফিসকক্ষে ফেরত এসে অপেক্ষায় থাকা প্রতারক হামিদুর রহমান ও আব্দুল জলিলকে আটক করেন। অপর আসামী শামসুল আলম পূর্বেই কৌশলে পালিয়ে যায়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় পলাতক আসামী আল আমিন তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর হতে গেল বছরের ০৩ ডিসেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বিচার শাখা-৪ হতে ইস্যুকৃত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম পাতাখালী গ্রামের সুধান্য বর্মনের ছেলে সুদীপ্ত বর্মসহ মোট ১৫ জনের নিয়োগের অফিস আদেশ আসামী হামিদুর রহমানের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায়। 

পরবর্তীতে ১১ জানুয়ারি একই মন্ত্রণালয় থেকে আসামী শামসুল হকের নিয়োগপত্রটি একইভাবে আসামী হামিদুর রহমানের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় এবং নিয়োগপত্রটি প্রিন্ট করে আসামী ফজলুল হককে দিতে বললে আসামী হামিদুর রহমান নিয়োগপত্রটি প্রিন্ট করে আসামী হামিদুর রহমান, ফজলুল হক ও শামসুল আলমকে নিয়োগপত্রসহ শাহিনের অফিসে উপস্থাপন করেন। আসামীরা পরস্পরের যোগসাজসে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভূয়া নিয়োগপত্র তৈরি ও তা খাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে।

 বিষয়টি র‌্যাব-১ এর নিকট দিনাজপুরের কোতয়ালী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সহায়তা চাইলে র‌্যাব-১ ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ১নং সিএন্ডবি বাজারের প্রিয়াঙ্গন প্লাজার সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত