বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫ ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫
হল পরিচালনার সেকাল ও একাল
এ কে এম শাহনাওয়াজ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৩:৪৯ PM আপডেট: ২৯.০২.২০২৪ ৪:২৬ PM
এই সেকাল অনেক পুরোনো নয়। ষোলো-সতেরো বছর আগের কথা। একালের সঙ্গে আমার এই সেকালের গল্পটি এসে গেল গত ২০ ফেব্রুয়ারি যুগান্তরে প্রকাশিত শেষের পাতার প্রধান রিপোর্ট ‘আয়েশি বসবাস অবৈধদের’ পাঠ করে। বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে এ রিপোর্টে। অথচ পনেরো-বিশ বছর আগেও এমনটি ছিল না।

সাম্প্রতিককালে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন মুখ থুবড়ে পড়ল কেন! রিপোর্টে দেখা গেল, অছাত্রদের হলে থাকার বিষয়ে একজন প্রভোস্ট সত্য উচ্চারণ করেছেন, বলেছেন অনেক দিনের চর্চা বলে এর থেকে বেরোতে সময় লাগবে। এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, এতকাল এমন চর্চা মেনে নেওয়া হলো কেন? অবশ্য ভেতরের সত্য আমরা কাছে থেকে দেখি বলে বুঝতে পারি। হল প্রশাসনের অসহায়ত্বও বুঝতে পারি আমরা। বাংলাদেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-যেখানে ছাত্ররাজনীতি করার সুযোগ আছে, সব জায়গায়ই এমন অসহায়ত্ব চোখে পড়বে।

সরকারি দলের ছাত্ররাজনীতির দাপটে সাধারণ ছাত্র থেকে হল প্রশাসনে যুক্ত কর্মকর্তা, শিক্ষক সবাই তটস্থ থাকে এখন। এমন কথা প্রচলিত আছে যে কাগজ কলমে প্রভোস্ট, ওয়ার্ডেন আর হাউজ টিউটররা হল প্রশাসন পরিচালনা করেন। আর প্রকৃত অর্থে হলের নিয়ন্ত্রণ থাকে ছাত্র নেতাদের হাতে। এসব কারণে হল প্রশাসনের শিক্ষক-কর্মকর্তারা সব সময় হলেও আসেন না। হলের আবাসিক সাধারণ ছাত্ররা নাকি অনেকে এখন হল প্রভোস্ট ও বেশির ভাগ হাউজ টিউটরকে ভালোভাবে চেনেও না। হলে আসন বণ্টনে ছাত্রনেতাদের ইচ্ছাই প্রধান্য পায়। কথিত আছে নিয়মমতো হাউজ টিউটরদের না পেয়ে প্রায়ই ছাত্রদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর আনতে হয় শিক্ষকদের ডিপার্টমেন্টে গিয়ে। অবশ্য ছাত্রদের এতসব অভিযোগ শতভাগ সঠিক কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু চরম সত্যটি যুগান্তরের রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে। হলে ছাত্র-নেতাকর্মীদের দখলে থাকা রাজনৈতিক ব্লক বা কক্ষ অনেকদিন থেকেই কার্যকর। ক্ষমতার দাপটে থাকা ছাত্রনেতারা আজকাল এতটাই অমানবিক যে, কোনো নেতা এ রুম সংকটের সময়ও একাই দুটো কক্ষ দখল করে থাকছে এবং বৈধ-অবৈধ নিজ অনুগতদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ করছে আর কক্ষ পাওয়ার দাবিদার সাধারণ ছাত্ররা গাদাগাদি করে গণরুমে থাকছে। অর্থাৎ সবার চোখের সামনে রামরাজত্ব চলছে।

পত্রিকায় মাঝেমধ্যে খবর বেরোয়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রনেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে বশ করে যেমন নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্য করে, তেমনি হলে সিট বাণিজ্যও করে থাকে। আবার পান থেকে চুন খসলেই সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এসব কারণে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মহল্লায় অনেক ছাত্র বাসা ভাড়া করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অঘটনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। অছাত্রদের হল থেকে বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিযোগ নিরীহ ছাত্র, যারা পরীক্ষার পর হল ছাড়েনি, প্রশাসনের তৎপরতায় তারাই বেরিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রলীগ এবং তাদের ছত্রছায়ায় যেসব অবৈধরা হলে আছে, তাদের টিকি ছুঁতে পারছে না। আমাদের প্রশ্ন, দিনে দিনে কেন এত অসহায় হয়ে পড়ল বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন।

তুলনা করতে গিয়ে আমি আমার সেকালের কথা স্মরণে আনলাম। ২০০২ সালে আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ সালাম-বরকত হলের ওয়ার্ডেন ছিলাম। এটি বিএনপির শাসনকাল। নিয়মমাফিক তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগ বিতাড়িত ও ছাত্রদলের রামরাজত্ব। আমাদের হল প্রভোস্ট দায়িত্ব শেষ করার পর অব্যাহতি পেলেন। এদেশের বাস্তবতার স্বভাবিক নিয়মে তখন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য বিএনপিদলীয় শিক্ষকরাজনীতির নেতা। এক দুপুরে উপাচার্যের অফিসে আমার ডাক পড়ল। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য আমারই শিক্ষকতুল্য। উপাচার্য মহোদয় আমাকে সরাসরি প্রস্তাব দিলেন আমি সম্মত হলে তারা আমাকে প্রভোস্ট হিসাবে নিয়োগ দিতে চান। আমি একটু বিস্মিত হলাম। বিনয়ের সঙ্গে বললাম ‘স্যার, আপনারা তো এসব পদে দলীয় শিক্ষকদের নিয়োগ দেন। আপনারা কি নিশ্চিত আমি শিক্ষক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই? আর বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে তো আমার সম্পর্কই নেই। উপাচার্য মহোদয় হেসে বললেন, তোমাকে আমরা ভালোভাবে জানি। হলের সব ছাত্রের সঙ্গে তোমার সুসম্পর্ক। হলটি যেহেতু রাজনৈতিক কারণে জটিল হল, আমার ধারণা তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। 

মনে পড়ে আমি একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছিলাম তখন। বলেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিধি মেনে আমি হল চালাব। এতে যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাকে সমর্থন দিতে হবে। উপাচার্য মহোদয় সম্মত হয়েছিলেন। তখনো ছাত্রদল নেতারা কর্তৃত্ববাদী আচরণ করত। আমি হল প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা করলাম। জানিয়ে দিলাম হল পরিচালিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী। এর মধ্যে ছাত্রদল নেতাদের নামে অনেক অভিযোগ জমা হতে থাকল। গুরুতর অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি গঠন করলাম। আর অপেক্ষাকৃত ছোট অভিযোগের বিপরীতে হাউজ টিউটরদের নিয়ে রাতে অভিযানে বের হতাম। সাধারণ ছাত্ররা রুমে বুকসেলফ পেত না, টেবিল থাকত না। সেগুলো জবর দখল করে নিয়ে যেত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এক রুমে ২-৩টি করে সেলফ পেতাম। সেগুলো উপস্থিত থেকে বের করে আনতাম। পরদিন যথাজায়গায় বিতরণ করতাম। গুরুতর অভিযোগে তদন্ত সাপেক্ষে কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করলাম। এর যে প্রতিক্রিয়া হয়নি তা নয়। একদিন রাতে হল প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে যখন মিটিং করছিলাম, তখন নানা হল থেকে ছাত্রদল নেতারা কর্মীদের নিয়ে এসে মিছিল করে আমাদের রুম বাইরে থেকে তালা দিয়ে দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর করে। বিদ্যুৎ-টেলিফোন লাইন কেটে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল সেদিন। খবর পেয়ে গোটা ক্যাম্পাস যেন চলে এসেছিল আমাদের রক্ষা করতে। মাঝরাতে উপাচার্য প্রক্টোরিয়াল বডি নিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করেন। এরপর থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানাভাবে চাপ দিতে থাকে বহিষ্কারাদেশ উঠিয়ে নিতে। আমরা অনড় থাকি। আমি উপাচার্য মহোদয়কে বলেছিলাম, আপনি নিজ ক্ষমতা প্রয়োগ করে বহিষ্কারাদেশ উঠাতে পারেন অথবা আমাকে প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে অব্যাহতি দিতে পারেন।

শেষ পর্যন্ত সত্য টিকে যায়। এর কিছুদিন পর নিয়মমতো আমি প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি হয়েছিলাম। সেসময় সব হলের প্রভোস্ট আমাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আমার উদাহরণে তারাও শক্ত থাকতে চেষ্টা করেছিলেন। সম্ভবত আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে দীর্ঘসময় প্রভোস্ট ছিলাম। এর মধ্যে দুজন ভিসির কার্যকাল শেষ হয়েছে; কিন্তু অনেক আবেদন-নিবেদন করেও আমি অব্যাহতি পাইনি।
সেকালের কথা এজন্য বললাম, আমি বিশ্বাস করি নিয়ম মেনে সত্য প্রতিষ্ঠা করে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করা যায়। আমার বারবার মনে হয়েছে আমি দলীয় রাজনীতি করা শিক্ষক হলে বোধহয় অতটা অনমনীয় থাকতে পারতাম না। এখন যেমন অনেক ক্ষেত্রে আপস করে হল চালাচ্ছে হল প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শৃঙ্খলায় আনা প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে পড়ছে। আমাদের রাজনৈতিক সরকারগুলো কোনো পর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মুক্তবিবেকের পীঠস্থান হতে দেয়নি। জ্ঞানচর্চার চেয়ে এখন দলীয় রাজনীতিচর্চা এখানে গুরুত্ব পায়। যখন থেকে দলীয় বিবেচনায় উপাচার্য নিয়োগ শুরু হয়েছে, তখন থেকে পাণ্ডিত্য বিচার অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের চর্চা শুরু হয়ে যায় এ সময় থেকেই। দলীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিজ দলীয় ছাত্র সংগঠনের ছত্রছায়া হয়ে ওঠে। এভাবে বিএনপি আমলে ছাত্রদল দাপুটে হয়ে পড়েছিল। আওয়ামী লীগ আমলে একই রকম আচরণ করে ছাত্রলীগ। এ কারণে সব বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্র সংঘাত নিয়মে পরিণত হয়ে পড়েছে। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল সম্মুখ সারিতে না থাকলে নিজ দলের মধ্যেই তৈরি হয় উপদল। এমন অসুস্থতা শুধু ছাত্র রাজনীতি নয়, শিক্ষক রাজনীতিতেও দেখা যায়।

ক্যাম্পাসে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে সাধারণত দলীয় ছাত্রদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে চান উপাচার্যরা। এভাবে একসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের প্রতীকী নাম হয়েছিল ‘ভিসি লীগ’। প্রশাসনের কাছ থেকে নানা সুবিধা পাওয়া এসব ছাত্র শিক্ষকদের ওপর চড়াও হতে দ্বিধা করে না। অতি সম্প্রতি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটেছে। দলীয় উপাচার্যদের সাধারণ সংকট এ বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা গেছে। উপাচার্য মহোদয়ের অনুকূল না থাকায় দুবছর নাকি সেখানে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়নি। এবার নির্বাচন হলেও উপাচার্যের পক্ষের খুব কম শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে অস্বস্তি রয়েছে উপাচার্য মহোদয়ের মধ্যে। নির্বাচিত শিক্ষকরা উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে সেখানে নাকি অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। উপাচার্য মহোদয়ের অফিস কক্ষে ছাত্রলীগ ও তাদের বহিরাগত বন্ধুরা শিক্ষকদের ওপর অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এখানেও হলে বসবাসরত অবৈধরা নাকি উপাচার্য মহোদয়ের হয়ে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করে। শেষ পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির শিক্ষকরা বাধ্য হন নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে থানায় জিডি করতে।

এমন স্খলন দিনদিন বাড়ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। আমাদের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো সবকিছুতে রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে উচ্চশিক্ষাকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের দেড়-দুই যুগ আগের ‘সেকালে’ অবস্থা এতটা সঙ্গিন ছিল না। রাজনীতিকরণের দাপট এত তীব্র ছিল না। শিক্ষাবিদ উপাচার্যরা এতটা অবনত ছিলেন না। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেনি। যেহেতু হলগুলোই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি, সুতরাং যৌক্তিকভাবে হল পরিচালিত না হলে এর কুফল প্রতিফলিত হয় ক্যাম্পাসজুড়ে। হল পরিচালনার সার্বিক ক্ষমতা হলপ্রশাসনে যুক্ত শিক্ষকরা প্রয়োগ করতে না পারলে অনাচার বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়। আর এ অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে দলীয় অন্ধত্বে চলা বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের কাঠামোতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ‘ সেকালে’ আমরা নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দায়িত্বের প্রশ্নে দৃঢ় থাকার চেষ্টা করতে পারলে এখন পারছি না কেন? এ মৌলিক প্রশ্নটি নিয়ে সব পর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের ভাবতে হবে।

লেখক : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত