নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অধ্যক্ষ ও গর্ভনিং বডির সভাপতি দুলাল হোসেন গোপনে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ৪টি পদের প্রার্থীকে যোগদান করাতে এসে এলাকাবাসীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে।
ঘটনাটি বুধবার(২৮ ফেব্রুয়ারী ) সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার পাংগা চৌপথী এলাকায় ঘটে। ওই স্থানের পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও ইবতাতায়ী প্রধান পদে গোপনে নিয়োগ পরিক্ষা নিয়েছেন মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষ। যদিও সভাপতি স্বীকার করেছেন নিয়োগ পরিক্ষার দিন তিনি অসুস্থজনিত কারণে নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারেনি।
এলাকাবাসী মো: দুলাল হোসেন ওরফে বিশ্ব দুলাল জানান,আজ ২৯ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার ও গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদ্রাসায় ৪জন ব্যক্তি যোগদান করতে আসে।কিন্তু উল্লেখিত মাদ্রাসায় কোন নিয়োগ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।ওইসব ব্যক্তিকে মাদ্রাসার সভাপতি মো: দুলাল হোসেন যোগদান করার চেষ্টা করে। আমরা এলাকাবাসী সভাপতির সেই অপচেষ্টাকে রুখে দেই। সভাপতি ও অধ্যক্ষ বিপুল টাকার বিনিময় নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৪টি পদে যথাক্রমে উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার,ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও ইবতাতায়ী প্রধান পদে পাশ্ববর্তী উপজেলায় গোপনে নিয়োগ পরিক্ষা নেন। নিয়োগ প্রার্থীদের মাদ্রাসায় এসে অধ্যক্ষের অনুপস্থিতিতে যোগদানের চেষ্টা করে সভাপতি দুলাল হোসেন।
সভাপতি দুলাল হোসেন জানান, নিয়োগ পরিক্ষার দিন আমি অসুস্থতার কারনে ওই নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত না থাকলেও বিষয়টি অবগত ছিলাম। ওইদিন সেখানে লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও মৌখিক পরিক্ষা পরবর্তীতে নেওয়া হয়েছে।প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছাড়া নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়া ও নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যত্র পরিক্ষা নেওয়ার বিধান আছে কিনা ,জানতে চাইলে তিনি বলেন অন্যত্র নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার নিয়ম আছে কিনা তা আমার জানা নাই।
অধ্যক্ষ একেএম রিয়াজুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ থাকায়, তার কোন মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম বলেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তর হতে আলিম মাদ্রাসাগুলো পরিচালিত হয়। তাই সেখানে মাধ্যমিক দপ্তরের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ারও কোন সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত; অবসরের ৭ দিন আগে তড়িঘড়ি করে গোপনে পাংগা চৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও ইবতাতায়ী প্রধান পদে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়া হয়। নিয়োগ পরিক্ষাটি গোপন রাখতে নিজ প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে পাশ^বর্তী উপজেলা কিশোরগঞ্জের একটি বালিকা মাদ্রারাসায় নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ রিয়াজুল ইসলামের চলতি মাসের ২৯তারিখে অবসরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাদ্রাসার সভাপতি দুলাল হোসেন।