মুজিব বর্ষে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার এই নির্দেশনায় বাস্তবায়ন হয়েছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান।
এমতাবস্থায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী এলাকার, স্বামী পরিত্যক্তা ৪ সন্তানের জননী শেফালী বেগম মানুষের আশ্রয় দেওয়া জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করলেও, এই প্রকল্পের আওতায় তার ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বরাদ্দের ঘর। চার সন্তান ও শাশুড়ীকে নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন একটি ঘরের আশায় শেফালী। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নিজবাড়ী গ্রামের ভূমিহীন শেফালী ৬ সদস্যের পরিবার অন্যের আশ্রয় দেওয়া জায়গায় অতি কষ্টে বসবাস করে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের নিজবাড়ী গ্রামের ভূমিহীন শেফালী বেগম জরাজীর্ণ বসবাসের চিত্র। শেফালী বেগমের স্বামী গত ৫ বছর ধরে সংসারের কোন খোঁজখবর, না নেওয়ায় অতি কষ্টে ৬ সদস্য কে নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছে।
স্বামী জিয়ারুল বৃদ্ধ মা-স্ত্রী সন্তানদের ছেড়ে পাঁচ বছর ধরে পলাতক হয়ে ঢাকা শহরে গিয়ে নতুন সংসার গড়েছে অভিযোগ পরিবারের।
শেফালী বেগম সাংবাদিকদের কাছে কেঁদে কেঁদে বলেন,আমার ও আমার পলাতক স্বামীর কোন জমাজমি নেই। আমি ভূমিহীন আমার কষ্ট দেখে নিজবাড়ী ডাক্তার পাড়ায় রফিকুলের বাসায় আয়ার কাজ করে সংসার চালাতাম। তারপর যুবতী মেয়ে শাশুড়ী ও ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদের নিয়ে ঘর না থাকায় প্রতিনিয়ত ভয়ে কাটছে আমার পরিবার। জীবন যুদ্ধে বিধবা শাশুড়ীসহ চার সন্তানকে নিয়ে সংসারের একাই ঘানি টানছেন শেফালী। তিনি আরও বলেন,আমার বসতবাড়ী না থাকায় টিন সেটের বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম। সঠিক সময়ে বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে, না পারায় বের করে দেয় বাড়ীর মালিক।
কয়েকমাস আগে বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারের বিয়ে হলেও যৌতুকের জন্য জামাই প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে আমার মেয়েকে। এই নির্যাতন মা হয়ে সহ্য করতে না পেয়ে, আমার কাছে নিয়ে আসি। আমার মেয়ের জামাই-ও কোন খোঁজখবর নেয় না। আমার এই কষ্ট দেখে প্রতিবেশী লালচাঁন ভাই আমাকে কিছুদিনের জন্য তার বাড়িতে আমাকে থাকার জায়গা দেয়।
এবিষয়ে এলাকাবাসী জানান, শেফালী বেগম একজন হতদরিদ্র তার ছোট ছোট মাসুম বাচ্চাদের নিয়ে একটি থাকার ঘর খুব দরকার।
কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার জানান, আমার কাছে আবেদন নিয়ে আসলে সুপারিশ করা যাবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন ওনি যদি প্রকৃত ভূমিহীন হয় আমাদের কাছে আবেদন করলে উপজেলা কমিটি যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।